বিকল্প উৎস হতে বিদ্যুৎ উৎপাদনে বাংলাদেশ প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বুয়েট) রুফটপ সোলার সিস্টেম তৈরি করবে জেনেক্স ইনফ্রাস্ট্রাকচার লিমিটেড।
দেশের শীর্ষ প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ১০০ ভবনের মধ্যে ২৪ টির ছাদে স্থাপিত সিস্টেমে সর্বোচ্চ ৩ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন সম্ভব বলে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
সম্প্রতি বুয়েটে এক অনুষ্ঠানে শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনির উপস্থিতিতে চুক্তি স্বাক্ষর করেন উপাচার্য অধ্যাপক সত্য প্রসাদ মজুমদার এবং জেনেক্স ইনফ্রাস্ট্রাকচারের ব্যবস্থাপনা পরিচালক তানজিদুল আলম।
এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন, বুয়েটের প্রো-ভিসি অধ্যাপক আবদুল জব্বার খান, জেনেক্স ইনফ্রাস্ট্রাকচারের নির্বাহী পরিচালক এনায়েতুল ইসলাম, প্রধান পরিচলন কর্মকর্তা তানভীর মোসাদ্দেক, হেড অব অপারেশন্স নুরুল আলম সোহেল, আন্তর্জাতিক ব্যবসায় বিভাগের প্রধান হারুনুর রশীদ।
জেনেক্স ইনফ্রাস্ট্রাকচার বুয়েটের সম্মতি নিয়ে প্রকল্পের এনার্জি পারফরম্যান্স কন্ট্রাক্টিং (ইপিসি) এ অর্থায়ন করবে। বুয়েটের প্রতিনিধিরা সম্পূর্ণ বাস্তবায়ন প্রকল্প পর্যবেক্ষণ করবেন এবং প্রকল্পটি সম্পূর্ণ করার বিষয়ে তাদের সম্মতি দেবেন। ইপিসি হলো মূলধন তৈরির জন্য সৃজনশীল প্রক্রিয়া যা খরচ হ্রাসের মাধ্যমে বিদ্যুৎ প্রকল্পে অর্থায়ন করা হয়।
বুয়েট বিদ্যুৎ ব্যবহার করবে এবং নির্ধারিত শুল্কে বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ করবে যা পরবর্তী ২৫ বছরের জন্য একটি বিদ্যুৎ ক্রয় চুক্তির অধীনে জেনেক্স অবকাঠামোতে বর্তমান ডিপিডিসি ট্যারিফের চেয়ে কম হবে।
জেনেক্স ইনফ্রাস্ট্রাকচারের ব্যবস্থাপনা মোহাম্মদ তানজিদুল আলম সৌর প্রযুক্তির উন্নয়নে ‘নেট মিটারিং নির্দেশিকা’ প্রবর্তনের জন্য সরকারের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন।
তিনি বলেন, “শুধু বিদ্যুৎ বিতরণ কোম্পানিগুলোর প্রয়োজনীয় সফটওয়্যার না থাকায় নির্দেশিকা বাস্তবায়ন সম্ভব হচ্ছে না। আমরা যদি প্রযুক্তিগত উৎকর্ষতা এবং প্রয়োজনীয় প্রযুক্তি যোগ না করি তবে আমরা পিছিয়ে পড়বো”।
মূলধন ব্যয় ও অপারেটিং ব্যয়, দুটি প্রক্রিয়ায় গ্রিড সংযুক্ত সৌর সিস্টেম ইনস্টলেশনের বিষয়ে যে কোনও উদ্যোগ নেওয়ার জন্য ২০১৮ সালে নেট মিটারিংয়ের নির্দেশিকা প্রকাশ করে টেকসই ও নবায়নযোগ্য জ্বালানি উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (স্রেডা)। জেনেক্স এই প্রকল্পে অপারেটিং ব্যয় বা ওপেক্স মডেল অনুসরণ করবে এবং বুয়েট ইনস্টলেশনের জন্য প্রযুক্তিগত সহায়তা প্রদান করবে।