দেশের মুদ্রাবাজার ও পুঁজিবাজার এখন যৌথভাবে অর্থনীতিকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম। বৃহস্পতিবার (১৭ নভেম্বর) রাজধানীর যমুনা ফিউচার পার্কে আল হারামাইন সিকিউরিটিজ লিমিটেডের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা জানান।
তিনি বলেন, শেয়ারবাজারকে এগিয়ে নেওয়ার জন্য আমরা আরও নতুন নতুন প্রোডাক্ট নিয়ে আসছি। মুদ্রাবাজার ও শেয়ারবাজারের যৌথ প্রয়াসে আমরা যেভাবে যৌথভাবে কাজ করে যাচ্ছি, তাতে আমার বিশ্বাস করোনা ও ইউক্রেন যুদ্ধের সংকটের মধ্যেই আমাদের অর্থনীতি ভালো হবে।
অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম বলেন, আমাদের দেশে ব্যাংকিং সেক্টরে যে কথা হচ্ছে আসলে তা সঠিক নয়। আমাদের দেশে কিছু লোক হুন্ডির মাধ্যমে টাকা আনছেন। আমাদের ফরেন এক্সচেঞ্জে কোনো সমস্যা নেই। ব্যাংকে গিয়ে টাকা পায়নি এমন কেউ বলতে পারবে না। ব্যাংকগুলো সুন্দরভাবে কাজ করছে। ব্যাংকিং সেক্টর নিয়ে এতো বলার কারণ হচ্ছে আমাদের অর্থনীতিতে কোনো অস্থিরতা নেই।
বিএসইসি চেয়ারম্যান বলেন, সম্প্রতি নতুন যে ৫০ টি ট্রেকের (ব্রোকারেজ হাউজ) লাইসেন্স দিয়েছি, পুরাতন ট্রেকগুলোর চেয়ে নতুনগুলো ভালো করছে। নতুন ট্রেকগুলোর মধ্যে প্রায় ২১ বা ২২ টি টপ হান্ড্রেড এর মধ্যে চলে এসেছে। তার মানে আমরা নতুন যে ট্রেক অনুমোদন দিয়েছি, আমাদের সে সিদ্ধান্ত ভুল ছিল না।
অনুষ্ঠানে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের চেয়াম্যান ইউনুসুর রহমান বলেন, বর্তমান পরিস্থিতির দিকে নজর দিলে বলা যায়, বিশ্বের খুব কম রাষ্ট্রেই ১০ বছর ধারাবাহিকভাবে অর্থনৈতিক অগ্রগতি হয়েছে।
আল হারামাইন গ্রুপের চেয়ারম্যান মাহতাবুর রহমান বলেন, বর্তমান কমিশনের বেশ কিছু উদ্যোগের কারণে পুঁজিবাজারে অনেকেই নতুন করে আবার আসছে, বিনিয়োগ করছে। শেয়ারবাজারে লাভ লোকসান হবেই। শুধু লাভ হবে এটা ভেবে বিনিয়োগ করা যাবে না। আপনারা সবকিছু দেখে বিনিয়োগ করবেন। আর ধৈর্য ধরবেন।
আল হারামাইন সিকিউরিটিজ লিমিটেডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) শামসুজ্জামান উজ্জ্বল বলেন, আল হারামাইন শেয়ার মার্কেটের সব নিয়মনীতি মেনেই কাজ করবে। দেশের বর্তমান অর্থনীতিতে ভূমিকা রাখবে বলে আশা করি।
মেজর জেনারেল (অবসরপ্রাপ্ত) হুমায়ুন কবীর, রূপায়ণ গ্রুপের চেয়ারম্যান লিয়াকত আলী মুকুল, রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সাবেক সচিব সেলিম রেজাসহ আল হারমাইন সিকিউরিটিজের অন্যান্য কর্মকর্তা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।