প্রথম ম্যাচে দু’দলই জয় পেয়েছে। আজ মুখোমুখি তারা। ইকুয়েডর এবং নেদারল্যান্ডস। কাতারকে ২-০ গোলে হারিয়েছিল লাতিন আমেরিকার দেশ ইকুয়েডর। আর সেনেগালকে একই ব্যবধানে হারিয়েছে নেদারল্যান্ডস। এই দু’দলই আজ মুখোমুখি হচ্ছে নকআউটে চোখ রেখে।
হয়তো কাগজে-কলমে বিজয়ী দলের দ্বিতীয় রাউন্ড নিশ্চিত হবে না। তবে, দ্বিতীয় রাউন্ডের পথে যে অনেকদুর এগিয়ে যাবে তা নিশ্চিত করেই বলা যায়।
আল রাইয়ানের খলিফা ইন্টারন্যাশনাল স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ সময় রাত ১০টায় মুখোমুখি হবে এই দুটি দেশ।
বিশ্বকাপে আগে তিনবার অংশগ্রহণ করেছিল ইকুডের। এর মধ্যে একবারই শেষ ষোলোতে নাম লিখিয়েছে ইকুয়েডর। ২০০৬ সালে সেবার প্রথম দুটি ম্যাচই জিতেছিল তারা।
সেবার প্রথম ম্যাচে পোল্যান্ডের পর দ্বিতীয় ম্যাচে হারিয়েছিলো কোস্টারিকাকে। এবার কাতারকে হারানোর পর আজ তারা মুখোমুখি আসরের অন্যতম ফেবারিট ডাচদের। তার ওপর জার্মানি বিশ্বকাপের পর ইউরোপীয় দলের বিপক্ষে চারবারের দেখায় জিততে পারেনি তারা।
অন্যদিকে দক্ষিণ আমেরিকান কোনো দেশের বিপক্ষে বিশ্বকাপে সর্বশেষ আট দেখায় হারেনি নেদারল্যান্ডস। সর্বশেষ হার সেই ১৯৯৪ আসরে কোয়ার্টার ফাইনালে ব্রাজিলের কাছে। ২০১৪-এর সেমিফাইনালে আর্জেন্টিনার কাছে হারটা ছিল পেনাল্টি শ্যুট আউটে। এরপর তৃতীয় স্থান নির্ধারণী ম্যাচে হারিয়েছিলো ব্রাজিলকে।
যদিও এবারের বিশ্বকাপে যেভাবে বড় দলগুলো একের পর এক অঘটনের মুখোমুখি হচ্ছে, তাতে ইকুয়েডরের চেয়ে কোনোভাবেই এগিয়ে রাখা যায় না নেদারল্যান্ডসকে।
সৌদি আরবের কাছে আর্জেন্টিনার হার দেখে ইকুয়েডর গোলরক্ষক হার্নান গালিন্দেস বলেছিলেন, ‘আর্জেন্টিনার হারই শেষ নয়, বিশ্বকাপ আরো অনেক চমকই দেখাবে। সেনেগালের বিপক্ষে ডাচরা জিতেছে; কিন্তু ম্যাচটা যে কোনো দিকেই যেতে পারত। নেদারল্যান্ডসেরও দুর্বলতা আছে। ম্যাচটা আমাদের জন্য কঠিন সন্দেহ নেই; কিন্তু আশা করি, ওরাও আমাদের সমীহ করবে। ’
ডাচ অধিনায়ক ভিরগিল ফন ডাইকও মানছেন, সেনেগাল ম্যাচ থেকে আরো উন্নতি করতে হবে তাদের, ‘আক্রমণে আরো স্বতঃস্ফূর্ততা চাই। প্রতিপক্ষকেও আরো ভালোভাবে সামলাতে হবে। সে ম্যাচে সেনেগালিজদের প্রতি আক্রমণে অনেক সময়ই আমরা সমস্যায় পড়ে গেছি। আর প্রতি আক্রমণে ইকুয়েডরও ভয়ংকর। এটা নিয়ে আমাদের তাই সতর্ক থাকতেই হবে। আমি অবশ্য আশাবাদী আরো ভালোভাবেই এই ম্যাচেই দেখা দেব আমরা।’
অর্থসংবাদ/কেএ