নেশনস লিগে দারুণ ধারাবাহিকতা দেখিয়ে ফাইনালসে ওঠা ক্রোয়েশিয়াকে নিয়ে বিশ্বকাপে ভালো কিছুর প্রত্যাশা স্বাভাবিকভাবে ছিল। কিন্তু গত আসরের রানার্সআপরা শুরুটা প্রত্যাশামতো করতে পারেনি। মরক্কোর সঙ্গে গোলশূন্য ড্রয়ে ভাগাভাগি করতে হয়েছে পয়েন্ট। রোববার বাংলাদেশ সময় রাত ১০টায় খলিফা আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে তারা নামছে প্রথম জয়ের খোঁজে।
ক্রোয়েশিয়ার দ্বিতীয় গ্রুপ ম্যাচের প্রতিপক্ষ ৩৬ বছর পর বিশ্বকাপে খেলতে নামা কানাডা। উজ্জীবিত পারফরম্যান্স করে যারা বেলজিয়ামের কাছে হেরেছে। বাছাইপর্বে দুর্দান্ত পারফরম্যান্স করে বিশ্বকাপে জায়গা করে নেয় কানাডা। দুর্ভাগ্যবশত বেলজিয়ামের সঙ্গে পয়েন্ট ভাগাভাগি করতে পারেনি। রেড ডেভিলদের ঘাম ছুটিয়ে হেরে গেছে ১-০ গোলে।
ওই পারফরম্যান্স উজ্জীবিত করছে কানাডাকে। দলটির কোচ জন হার্ডম্যান এই বিশাল ম্যাচ নিয়ে রোমাঞ্চিত, ‘এই দলের জন্য একটা পরীক্ষা এটি। যে ম্যাচই আসুক, আমরা জ্বলতে থাকবো।’
এই প্রথমবার ফুটবল নিয়ে মুখোমুখি হচ্ছে ক্রোয়েশিয়া ও কানাডা। কনকাকাফ বিশ্বকাপ বাছাইয়ে অন্য যে কোনও দলের চেয়ে সবচেয়ে বেশি গোল করে ও কম গোল হজম করে কানাডিয়ানরা ১৯৮৬ সালের পর প্রথমবার বিশ্বকাপে। তিন যুগ আগের ওই আসরে গ্রুপ পর্ব থেকে ছিটকে গিয়েছিল তারা। দুই আসরে চার ম্যাচ খেলে একটিও না জেতা ও কোনও গোল না করা কানাডা এবার অভূতপূর্ব কিছু করতে পারে কি না সেটাই দেখার।
তবে নিশ্চিত করে বলা যায়, কম শক্তির দল হলেও বেলজিয়ামের ঘাম ছুটানো কানাডাকে নিয়ে সতর্ক থাকবে ক্রোয়েশিয়া। গ্রুপের শেষ ম্যাচে তাদের প্রতিপক্ষ শক্তিশালী বেলজিয়াম। কঠিন ওই পরীক্ষার আগে নিজেদের আত্মবিশ্বাস বাড়াতে বড় ব্যবধানে জিতে চাইবে ক্রোটরা। ‘এফ’ গ্রুপ থেকে এখনও সব দলেরই শেষ ষোলোতে ওঠার সুযোগ থাকায় কানাডাও চাইবে অঘটন ঘটাতে।
অর্থসংবাদ/কেএ