সোমবার (১৩ জানুয়ারি) দুপুর আড়াইটায় সিআইডির ডিআইজি ইমতিয়াজ আহমেদ সংবাদ সম্মেলনে এতথ্য জানান।
এর আগে ক্যাসিনো-কাণ্ডের আলোচিত দুই ভাই গেন্ডারিয়া থানা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি এনামুল হক ও সাধারণ সম্পাদক রূপন ভূঁইয়াকে কেরানীগঞ্জের শুভাড্ডা এলাকার তার এক বিশস্ত কর্মচারির বাড়ি থেকে গ্রেফতার করে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। সোমবার ভোরে ঢাকার অদূরে কেরানীগঞ্জের শুভাড্ডা এক বাড়িতে হানা দেয় সিআইডি। সে বাড়ি থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়। তাদের কাছ থেকে ৪০ লাখ টাকা ও স্বর্ণালঙ্কার উদ্ধার করা হয়।
ডিআইজি ইমতিয়াজ আহমেদ জানান, ক্যাসিনো কান্ডের পর এনামুল-রূপন কক্সবাজার হয়ে মিয়ানমার পালাতে চেয়েছিল। তাদের এ চেষ্টা ব্যর্থ হলে পরে তারা ঢাকায় তাদেরই এক কর্মচারীর বাসায় আত্মগোপন করেছিল। পরে জাল পাসপোর্টের মাধ্যমে বিদেশে পালানোর পরিকল্পনা করে। এক প্রশ্নের জবাবে সিআইডি জানায়, ক্যাসিনোর সব সরঞ্জাম নেপাল থেকে আনা হয়েছে। এ ক্যাসিনো চালিয়ে ক্ষমতার অপব্যবহার করে অপকর্মের মাধ্যমে দুই ভাই অল্প সময়ে আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ হয়েছেন। তাদের হাতে ছিল আলাদ্দিনের চেরাগ। এমনটাই মন্তব্য করেছেন সিআইডির এই কর্মকর্তা।
প্রসঙ্গত, গত বছর ২৪ সেপ্টেম্বর এনামুল হক ও রূপন ভূঁইয়ার বাসা থেকে বিপুল পরিমাণ টাকা ও স্বর্ণ জব্দ করে র্যাব। দুই ভাই ওয়ান্ডারার্স ক্লাবের পরিচালক ও ক্যাসিনো নিয়ন্ত্রণ করতেন।