ভিন্ন চিত্র বাংলাদেশের শেয়ারবাজারে

ভিন্ন চিত্র বাংলাদেশের শেয়ারবাজারে
গত সপ্তাহে দক্ষিণ এশিয়ার শেয়ারবাজারে মন্দাভাব দেখা গেছে। ভারত, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা, নেপাল এবং ভূটানের শেয়ারবাজারে সপ্তাহজুড়ে পতন হয়েছে। তবে বিদায়ী সপ্তাহে বাংলাদেশের শেয়ারবাজারে ছিল ভিন্ন চিত্র। সপ্তাহজুড়ে দেশের দুই শেয়ারবাজারেই মূল্যসূচক বৃদ্ধি পেয়েছে। একই সঙ্গে বৃদ্ধি পেয়েছে বাজার মূলধন।

দক্ষিণ এশিয়ার বাজার পর্যালোচনায় দেখা যায়, গত সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবসে (সোমবার) বোম্বে স্টক এক্সচেঞ্জের (বিএসই) সূচক সেনসেক্সের অবস্থান ছিল ৬২ হাজার ৮৪ দশমিক ৫২ পয়েন্টে। সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে শুক্রবার (১৬ ডিসেম্বর) লেনদেন শেষে সেনসেক্স দাঁড়ায় ৬১ হাজার ৩৬০ দশমিক ৬০ পয়েন্টে। অর্থাৎ সপ্তাহজুড়ে সেনসেক্স হারিয়েছে ৭৪৬ দশমিক ৭১ পয়েন্ট। এর মধ্যে শুক্রবারই সূচকটি হারিয়েছিল ৪৬১ পয়েন্ট।

সেনসেক্সের মতো ভারতের ন্যাশনাল স্টক এক্সচেঞ্জের (এনএসই) সূচক ‘নিফটি ৫০’ এক সপ্তাহে ৮৫ দশমিক ৫৫ পয়েন্ট হারিয়েছে। সপ্তাহ শেষে সূচকটি অবস্থান করছে ১৮ হাজার ২৬৯ পয়েন্টে।

দক্ষিণ এশিয়ার আরেক দেশ পাকিস্তানের শেয়ারবাজারেও গত সপ্তাহে পতন হয়েছে। সপ্তাহের প্রথম কর্মদিবসে (সোমবার) লেনদেন শুরুর আগে পাকিস্তান স্টক এক্সচেঞ্জের সূচক ‘কেএসই ১০০’ ছিল ৪১ হাজার ৭১৮ পয়েন্টে। সপ্তাহের শেষ কর্মদিবসে (শুক্রবার) লেনদেন শেষে সূচকটি ৪১ হাজার ৩০৮ পয়েন্টে স্থির হয়। সপ্তাহের পাঁচ কার্যদিবসে ‘কেএসই ১০০’ ৪১৭ দশমিক ১৯ পয়েন্ট হারিয়েছে।

দেউলিয়া দেশ শ্রীলঙ্কার শেয়ারবাজার কলম্বো স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সূচক ‘এএসপিআই’ গত সপ্তাহে ১০৮ দশমিক ২০ পয়েন্ট হারিয়েছে। নেপাল স্টক এক্সচেঞ্জের সূচক ‘এনইপিএসই’ এক সপ্তাহে ৩৪ দশমিক ৬৭ পয়েন্ট কমেছে। এছাড়াও ভূটানের শেয়ারবাজারের সূচক ‘বিএসআই’ গেল সপ্তাহে ১ দশমিক ০৯ পয়েন্ট কমেছে।

দক্ষিণ এশিয়ার বেশিরভাগ দেশের শেয়ারবাজারে পতন হলেও গত সপ্তাহে ইতিবাচক ধারায় ছিল বাংলাদেশের শেয়ারবাজার। প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সব সূচক গেল সপ্তাহে বৃদ্ধি পেয়েছে।

ডিএসইর দেওয়া তথ্য মতে, গত সপ্তাহে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের প্রধান সূচক ‘ডিএসই এক্স’ ২৯ পয়েন্ট বৃদ্ধি পেয়েছে। সপ্তাহ শেষে সূচকটি অবস্থান করছে ৬ হাজার ২৫৬ পয়েন্টে।

এছাড়াও ‘ডিএসই এস’ ১১ দশমিক ৩৫ পয়েন্ট এবং ‘ডিএস ৩০’ সূচক ৪ দশমিক ৯০ পয়েন্ট বৃদ্ধি পেয়েছে।

মূল্যসূচকের উত্থানের সঙ্গে ডিএসইতে টাকার অংকে শেয়ার লেনদেনের পরিমাণও বৃদ্ধি পেয়েছে। গেল সপ্তাহে এক্সচেঞ্জটিতে ২ হাজার ৪৫৫ কোটি ৬৪ লাখ ৩৭ হাজার টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে।

এক সপ্তাহে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের বাজার মূলধন বৃদ্ধি পেয়েছে ১ হাজার ১৫ কোটি ৬ লাখ টাকা। সপ্তাহ শেষে বাজার মূলধন দাঁড়িয়েছে ৭ লাখ ৬৩ হাজার ৭২৭ কোটি ৯২ লাখ ২১ হাজার টাকায়।

সপ্তাহজুড়ে ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া কোম্পানিগুলোর ২৯৭টির শেয়ারদরই ছিল অপরিবর্তিত। দর কমেছে ৩০টির, বিপরীতে ৬৪ কোম্পানির শেয়ারদর বৃদ্ধি পেয়েছে।

এছাড়াও অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক ‘সিএএসপিআই’ গেল সপ্তাহে ১০৮ দশমিক ৬১ পয়েন্ট বেড়েছে। সপ্তাহজুড়ে লেনদেন হয়েছে ১১১ কোটি ৬৭ লাখ ৯৭ হাজার ১৫৭ টাকার শেয়ার ও ইউনিট। লেনদেনে অংশ নেওয়া ২৭১ প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ১৮৯টির শেয়াদরই ছিল অপরিবর্তিত। দর বেড়েছে ৬০টির, বিপরীতে ২২ কোম্পানির শেয়ারদর কমেছে।

অর্থসংবাদ/ডব্লিওএস

আর্কাইভ থেকে

আরও পড়ুন

ফু-ওয়াং সিরামিকের লভ্যাংশ অনুমোদন
এক বছরে ডিএসইর বাজার মূলধন বেড়েছে ২০ হাজার কোটি টাকা
ডিএসইতে মোবাইল গ্রাহক-লেনদেন দুটোই কমেছে
বছরজুড়ে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্তির অনুমোদন পেয়েছে ৯ কোম্পানি
পুঁজিবাজারে লেনদেন বন্ধ আজ
বছরের ব্যবধানে পুঁজিবাজারে লেনদেন বেড়েছে ৪০ শতাংশ
রবিবার পুঁজিবাজার বন্ধ থাকলেও চলবে দাপ্তরিক কার্যক্রম
লোকসানে ৮ খাতের বিনিয়োগকারীরা
সাপ্তাহিক রিটার্নে মুনাফায় ১০ খাতের বিনিয়োগকারীরা
খাতভিত্তিক লেনদেনের শীর্ষে প্রকৌশল খাত