মঙ্গলবার (২৭ ডিসেম্বর) জাতীয় সংসদের সরকারি প্রতিষ্ঠান কমিটির বৈঠকে এ সুপারিশ করা হয়েছে।
কমিটির সভাপতি আ স ম ফিরোজের সভাপতিত্বে সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত এ বৈঠকে কমিটির সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান এবং নারায়ণ চন্দ্র চন্দ বৈঠকে অংশগ্রহণ করেন।
বৈঠকে পাট পণ্যের দেশীয় ও আন্তর্জাতিক চাহিদা পূরণে বাংলাদেশ জুট মিলস কর্পোরেশনের (বিজেএমসি) সামগ্রিক অবদান; বিজেএমসির আওতাধীন পাটকলগুলোর বিদ্যমান অবকাঠামো ও সম্পদের যথাযথ ব্যবহার; নিজস্ব অথবা ইজারার আওতায় পরিচালিত পাটকলসমূহের বাণিজ্যিক পরিচালন এবং বার্ষিক রিপোর্টের উল্লেখযোগ্য বিষয়ে কমিটিকে অবহিত ও পর্যালোচনা করা হয়।
বিজেএমসির প্রকাশিত সর্বশেষ আর্থিক হিসাবের উল্লেখযোগ্য আর্থিক ও ব্যবস্থাপনাগত বিষয়, পাটকলওয়ারি বিগত তিন অর্থ বছরের স্থিতিপত্র, আয়-ব্যয়ের হিসাব, লাভ-লোকসান হিসাবের তুলনামূলক তথ্য কমিটিতে উপস্থাপন ও আলোচনা হয়।
এছাড়া বাংলাদেশের পাটকল এবং পাট শিল্পের বর্তমান সংকট উত্তরণে করণীয়; পাট গবেষণা, পাটকলগুলো আধুনিকীকরণ ও পাটজাত পণ্য বহুমুখীকরণে বিজেএমসির কার্যক্রম ও পরিকল্পনা এবং বিজেএমসির আওতাধীন পাটকলগুলোর বিগত ১০ বছরের সিএজির রিপোর্টভুক্ত অনিষ্পন্ন অডিট আপত্তির হালনাগাদ অগ্রগতির সুপারিশ সম্বলিত বিষয়গুলোর ওপর বিস্তারিত আলোচনা করা হয়।
বৈঠকে এ বিষয়ে ফাইন্যান্সিয়াল রিপোর্টিং কাউন্সিলের মতামত নিয়ে পরবর্তী কোনো এক বৈঠকে উপস্থানের জন্য কমিটি সুপারিশ করে।
বিজেএমসির নিজস্ব অথবা ইজারার আওতায় পরিচালিত পাটকলগুলোতে কী পরিমাণ পাটজাত পণ্য উৎপাদন হচ্ছে এবং বিদেশের বাজারে কীরূপ চাহিদা রয়েছে তার হালনাগাদ তথ্যভিত্তিক প্রতিবেদন তৈরির জন্য কমিটি মন্ত্রণালয়কে পরামর্শ দিয়েছে।
পণ্যে পাটজাত মোড়কের বাধ্যতামূলক ব্যবহার আইন-২০১০ বাস্তবায়নে পাটের তৈরি ব্যাগ সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো কী পরিমাণ উৎপাদন করছে এবং তা ব্যবহার অব্যাহত আছে কিনা ও ব্যবহার বাড়ানো যায় কিনা, তা তদারকি করার জন্য বৈঠকে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব, বিজেএমসির চেয়ারম্যান, বিভিন্ন সংস্থাপ্রধানসহ মন্ত্রণালয় এবং জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।
অর্থসংবাদ/কেএ