মেট্রোরেলের (এমআরটি-৬) একজন কর্মকর্তা বলেন, মেট্রোরেল উদ্বোধনের দিন থেকেই সার্ভার কাজ করছে না। এখনো সমাধান হয়নি। এ কারণে টিকিট বুথের তথ্য ও হিসাব সমন্বয় করে মোট হিসাব মেলানো সম্ভব হচ্ছে না। সংকট নিরসনে কাজ চলছে। তবে এখনো সমাধান করা সম্ভব হয়নি। কবে সমাধান হবে, তাও বলা সম্ভব হচ্ছে না। এ কারণে মেট্রোরেলের টিকিট বিক্রি ও আয়ের সঠিক হিসাব দেওয়া সম্ভব হবে না।
এ প্রসঙ্গে ডিএমটিসিএল-এর পরিচালক (অর্থ ও হিসাব) মো. আফতাবুজ্জামান বলেন, সার্ভার জটিলতার কারণে টিকিট বিক্রি ও আয়ের হিসাব তার কাছে আসছে না।
সূত্র জানায়, উদ্বোধনের পরদিন ২৯ ডিসেম্বর থেকে গত সোমবার পর্যন্ত পাঁচ দিনে ম্যানুয়াল হিসাব অনুযায়ী ৪৬ লাখ ৮০ হাজার ৩০০ টাকা আয় করেছে মেট্রোরেল। প্রথম দিন ৩ লাখ ৯৩ হাজার ৫২০ টাকা, দ্বিতীয় দিন ১ লাখ ৩৯ হাজার ৯৮০ টাকা, তৃতীয় দিন ১২ লাখ ৩১ হাজার ৭১০ টাকা, চতুর্থ দিন ৯ লাখ ১৬ হাজার ৩৪০ টাকা এবং পঞ্চম দিন ১০ লাখ ১৪ হাজার ৪১০ টাকা টিকিট থেকে আয় হয়েছে। এ হিসাবে গড়ে প্রতিদিন আয় হয়েছে প্রায় সাড়ে ৯ লাখ টাকা করে। বুধবারের গড় হিসাব যুক্ত করলে ৬০ লাখের কাছাকাছি পৌঁছে যাবে। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত বুধবারের হিসাব মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষ সমন্বয় করতে পারেনি।
এছাড়া সংশ্লিষ্টরা জানান, এই হিসাব অনুযায়ী উদ্বোধনের প্রথম ৫ দিনে প্রায় ৮০ হাজার যাত্রী মেট্রোরেলে চলাচল করেছেন। মঙ্গলবার মেট্রোরেলের সাপ্তাহিক ছুটি। অর্থাৎ সপ্তাহে একদিন মেট্রোরেল বন্ধ থাকবে।
প্রসঙ্গত, দেশের প্রথম মেট্রোরেল উত্তরা থেকে কমলাপুর পর্যন্ত ২১ দশমিক ২৬ কিলোমিটার। এর মধ্যে গত ২৮ ডিসেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রাথমিকভাবে উত্তরা থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত ১১ দশমিক ৭৩ কিলোমিটার রুটের উদ্বোধন করেন। প্রাথমিকভাবে প্রতিদিন সকাল ৮টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত চলাচল করছে। তবে নানা সীমাবদ্ধতা দূর করে দ্রুতগতির এই যানবাহনের স্মার্টসেবা পেতে আরও কিছুদিন সময় লাগবে।
অর্থসংবাদ/কেএ