বৃহস্পতিবার (৫ জানুয়ারি) সকালে আবহাওয়াবিদ মো. আব্দুল হামিদ মিয়া বলেন, দিন ও রাতের তাপমাত্রার ব্যবধানজনিত কারণে যে শীতের তীব্রতা এটা আরও দু-একদিন থাকতে পারে। শনিবার থেকে হয়তো পরিস্থিতির উন্নতি হতে পারে। তবে সেটা স্থায়ী হবে না, দু-একদিন পর হয়তো আবার পরিস্থিতি এমনই থাকবে।
সকাল ৯টা থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী- এখন পর্যন্ত দেশে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে যশোরে। এখন পর্যন্ত সবগুলো স্টেশনের তাপমাত্রার তথ্য এসে পৌঁছায়নি বলেও জানান হামিদ মিয়া।
কানাডার সাসকাচুয়ান বিশ্ববিদ্যালয়ের আবহাওয়া ও জলবায়ুবিষয়ক গবেষক মোস্তফা কামাল পলাশ জানান, কুয়াশা অবস্থা শুক্রবারের পরে অনেক কমে যাবে। কিন্তু ঠান্ডা বাতাস বাংলাদেশের ওপর দিয়ে প্রবাহিত হবে ১০ জানুয়ারি পর্যন্ত।
তাপমাত্রা খুব বেশি নিচে নামেনি। কিন্তু সারাদেশেই এখন তীব্র শীতের অনুভূতি। মূলত কুয়াশা ও মেঘের কারণে রোদ উঠতে না পারায় কমে গেছে দিন ও রাতের তাপমাত্রার ব্যবধান। একইসঙ্গে উত্তর দিক থেকে বয়ে যাওয়া ঠান্ডা বাতাসের কারণে শীত জেঁকে বসেছে বলে জানিয়েছেন আবহাওয়াবিদরা।
তীব্র শীত অনুভূত হচ্ছে ঢাকায়ও। বুধবার (৪ জানুয়ারি) সারাদিন ঢাকায় রোদ ওঠেনি। বুধবারের মতো বৃহস্পতিবারও (৫ জানুয়ারি) সকাল থেকে কুয়াশাচ্ছন্ন ঢাকার আকাশ। বেলা সাড়ে ৯টায় এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত দেখা মেলেনি সূর্যের।
গতকাল বুধবার সকালে মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
আজ বৃহস্পতিবার সকালে ঢাকায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৪ দশমিক ১ ডিগ্রি থেকে কমে হয়েছে ১২ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
বুধবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে জানানো হয়েছে, আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারাদেশের আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত সারাদেশে মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা পড়তে পারে এবং এটি দেশের কোথাও কোথাও দুপুর পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে।
এসময়ে সারাদেশে রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে এবং দিনের তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে পারে। দিন ও রাতের তাপমাত্রা পার্থক্য কমার কারণে দেশের উত্তর, উত্তর-পশ্চিমাঞ্চল এবং মধ্যাঞ্চলে মাঝারি থেকে তীব্র শীতের অনুভূতি অব্যাহত থাকতে পারে বলেও পূর্বাভাসে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
অর্থসংবাদ/কেএ