রাজস্ব বোর্ডের পলিসির ওপর নির্ভর করে পুঁজিবাজারের গতি

রাজস্ব বোর্ডের পলিসির ওপর নির্ভর করে পুঁজিবাজারের গতি
পুঁজিবাজারের গতিশীলতা রাজস্ব বিভাগের পলিসির ওপর নির্ভরশীল বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ মার্চেন্ট ব্যাংকার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমবিএ) প্রেসিডেন্ট মো. ছায়েদুর রহমান।

বৃহস্পতিবার (৫ জানুয়ারি) অর্থসূচক ক্যাপিটাল মার্কেট এক্সপো-২০২৩ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সম্মানিত অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। অর্থসূচক সম্পাদক জিয়াউর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ছিলেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি। বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম।

বিএমবিএ প্রেসিডেন্ট বলেন, বাংলাদেশের পুঁজিবাজারের ইতিহাস অনেক লম্বা, কিন্তু সে তুলনায় আমরা এগিয়ে যেতে পারিনি। ২০১০ সালের পর থেকে আমরা প্রায় সময়ই হতাশ অবস্থায় আছি। এরপর থেকে সরকার বিনিয়োগ শিক্ষায় গুরুত্ব দিচ্ছে। ২০১৭ সালে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বিনিয়োগ শিক্ষা শুরু করেছেন। বিনিয়োগ শিক্ষার জন্য আমাদের ‘বিআইসিএম’ এবং ‘বিআইএসএম’ আছে। কিন্তু আমরা এসব প্রতিষ্ঠানকে কতটুকু কাজে লাগাতে পারছি?

তিনি বলেন, পুঁজিবাজার বিনিয়োগকারীদের জন্য বিনিয়োগের জায়গা। এটা প্রতিদিন ব্যবসা করার জায়গা নয়। আমরা যদি বিনিয়োগের জায়গা মনে করি, চিন্তাভাবনা করে বিনিয়োগ করলে ঝুঁকি কম হবে, লাভ হবে। তবে একক চেষ্টায় পুঁজিবাজারের উন্নয়ন সম্ভব নয়। সকল স্টেকহোল্ডারদের সমন্বিত সাপোর্ট দরকার।

নিয়ন্ত্রক সংস্থার একার পক্ষে পুঁজিবাজারের উন্নয়ন করা সম্ভব নয় জানিয়ে ছায়েদুর রহমান বলেন, বিএসইসির সঙ্গে বাংলাদেশ ব্যাংক এবং রাজস্ব বোর্ডের সমন্বয় হলে পুঁজিবাজারকে গতিশীল করা যাবে। পুঁজিবাজারকে গতিশীল করতে হলে নিরবিচ্ছিনভাবে অর্থের জোগান নিশ্চিত করতে হবে। অর্থের জোগানের বিষয়টি বিএসইসির হাতে নয়। এটি রাজস্ব বিভাগের বাৎসরিক পলিসির ওপর অনেকটা নির্ভরশীল। সরকারের যেসব প্রতিষ্ঠান অর্থের জোগান নিশ্চিত করবে, তাদের সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টা না থাকলে আমাদের পুঁজিবাজার কাঙ্খিত লক্ষ্যে পৌঁছাবে না, গতিশীল হবে না।

বিনিয়োগকারীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রায়ই অসমর্থিত তথ্য দিয়ে বিভ্রান্তি ছড়ানো হয়। সব তথ্যকে আপনারা বিবেচনায় নিবেন না। প্রত্যেক মার্চেন্ট ব্যাংক, ব্রোকার হাউজের রিসার্চ টিম আছে। এছাড়াও বিএসইসি এবং ডিএসইও রয়েছে। তালিকাভুক্ত সব কোম্পানি, ব্রোকারেজ হাউজ-মার্চেন্ট ব্যাংক এবং ডিএসইর ওয়েবসাইট আছে, সেখান থেকে আপনারা সঠিক তথ্য-উপাত্ত পেতে পারেন।

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) চেয়ারম্যান ইউনুছুর রহমান, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) চেয়ারম্যান আসিফ ইব্রাহিম, বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব পাবলিকলি লিস্টেড কোম্পানিজের (বিএপিএলসি) সভাপতি আনিস উদ দৌলা এবং ডিএসই ব্রোকার্স অ্যাসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট রিচার্ড ডি রোজারিও অনুষ্ঠানের সম্মানিত অতিথি ছিলেন।

অর্থসংবাদ/ডব্লিও.এস

আর্কাইভ থেকে

আরও পড়ুন

ফু-ওয়াং সিরামিকের লভ্যাংশ অনুমোদন
এক বছরে ডিএসইর বাজার মূলধন বেড়েছে ২০ হাজার কোটি টাকা
ডিএসইতে মোবাইল গ্রাহক-লেনদেন দুটোই কমেছে
বছরজুড়ে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্তির অনুমোদন পেয়েছে ৯ কোম্পানি
পুঁজিবাজারে লেনদেন বন্ধ আজ
বছরের ব্যবধানে পুঁজিবাজারে লেনদেন বেড়েছে ৪০ শতাংশ
রবিবার পুঁজিবাজার বন্ধ থাকলেও চলবে দাপ্তরিক কার্যক্রম
লোকসানে ৮ খাতের বিনিয়োগকারীরা
সাপ্তাহিক রিটার্নে মুনাফায় ১০ খাতের বিনিয়োগকারীরা
খাতভিত্তিক লেনদেনের শীর্ষে প্রকৌশল খাত