জানা গেছে, কৃষিবিদ ফিড লিমিটেড ব্যবসা সম্প্রসারণের জন্য শেয়ারবাজার থেকে ৩০ কোটি টাকা সংগ্রহ করতে চেয়েছিল।
কৃষিবিদ ফিড মূলত পোল্ট্রি ফিড, ফিশ ফিড এবং গবাদি পশুর সকল প্রকার উৎপাদন, বিক্রয় এবং বিতরনের ব্যবসা করে। এ ছাড়াও প্রতিষ্ঠানটি আমদানি-রফতানির সঙ্গেও সম্পৃক্ত।
সুত্র মতে, কোভিড-১৯ মহামারীজনিত কারণে প্রতিষ্ঠানটির ব্যবসায় গুরুতরভাবে নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে। বিশেষ করে প্রতিষ্ঠানটির উৎপাদন এবং সরবরাহের দিক থেকে নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে।কৃষিবিদ ফিড লিমিটেডের পরিচালনা পর্ষদ মনে করে মহামারী চলাকালীন সামনের সময়ে তাদের ব্যবসায় আরও নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে। তাই কোম্পানিটির প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের আবেদন প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নেয়।
কমিশন সূত্রে জানা গেছে, বুধবার বিএসইসি এ বিষয়ে কোম্পানিটির কাছ থেকে একটি চিঠি পেয়েছে। ২০১৯ সালের ২৮ অক্টোবর কৃষিবিদ ফিড লিমিটেড আইপিওর আবেদন কমিশনে জমা দিয়েছিল।নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি কোম্পানিটির কাছ থেকে আরও প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস চেয়েছিল, যা জমা দেওয়ার শেষ সময় ছিল চলতি বছরের ১২ আগস্ট। কমিশন কমপ্লায়েন্স ডকুমেন্টের পরিবর্তে কৃষিবিদ ফিড লিমিটেডের কাছ থেকে চিঠি প্রত্যাহার করে নিয়েছে।
কোম্পানিটি আইপিওর মাধ্যমে উত্তোলিত অর্থ থেকে ভবন নির্মাণ ও অন্যান্য মেরামতের জন্য ৭ কোটি টাকা, প্ল্যান্ট ও যন্ত্রপাতির জন্য ৪ কোটি ৯ লাখ টাকা, ব্যাংকের ঋণ পরিশোধের জন্য ১০ কোটি, ডিজেল জেনারেটর কেনার জন্য ২ কোটি ৮৫ লাখ টাকা এবং ডেলিভারি ভ্যানের জন্য ৪ কোটি ৭ লাখ টাকা ব্যবহার করতে চেয়েছিল।
৩০ শে জুন, ২০১৮ পর্যন্ত কোম্পানিটির নিরীক্ষিত আর্থিক বিবরনী অনুযায়ী নিট মুনাফা হয়েছে ৫ কোটি ৪১ লাখ টাকা, যা আগের বছরের একই সময়ে ছিল ৪ কোটি ৫৮ লাখ টাকা।এ সময়ে বিক্রয় থেকে আয় ছিল ৮৯ কোটি ৯২ লাখ টাকা, যা আগের বছরের একই সময়ে ছিল ৭৭ কোটি ৮৬ লাখ টাকা। একই সময়ে এর শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) ছিল ১ টাকা ৯৭ পয়সা এবং শেয়ার প্রতি নীট সম্পদ মূল্য ছিল ১৫ টাকা ৬ পয়সা।
২০১০ সালের নভেম্বরে কৃষিবিদ ফিড লিমিটেড গঠিত হয়, যা ২০১২ সালের জানুয়ারিতে কার্যক্রম শুরু করে।