তিনি বলেন, "আমরাদের তিনটি জিনিস প্রয়োজন। প্রথমত সক্ষমতা, যেটি সন্তোষজনক নয়। এছাড়া, প্রয়োজন স্বচ্ছতা ও সুশাসন।"
শনিবার (৭ জানুয়ারি) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির নসরুল হামিদ মিলনায়তনে বাংলাদেশের ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের তথ্যভিত্তিক প্রকাশিত গবেষণাগ্রন্থ 'ব্যাংকিং অ্যালমানাক (২০২০-২০২১)'-এর ৪র্থ সংস্করণের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন তিনি।
অনুষ্ঠানের সভাপতিত্বকালে সাবেক গভর্নর ও ব্যাংকিং অ্যালমানাক-এর এডিটোরিয়াল বোর্ডের চেয়ারম্যান ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ- উক্ত তিন বিষয়ে দ্রুত, দৃশ্যমান ও কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য পরিকল্পনামন্ত্রীর প্রতি আহ্বান জানান।
অন্যান্য ছোট দেশগুলোর মতো বাংলাদেশও জনশক্তি দিয়ে বৈশ্বিক অর্থনৈতিক সংকটের এই সময়ে টিকে থাকতে পারবে বলে আশা প্রকাশ করেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান।
পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, "আমাদের জনশক্তি আছে। সব সংকটের গোড়ার সমাধান এখান থেকেই হয়। সেখানে আমাদের শক্ত অবস্থান আছে। তাই বৈশ্বিক সংকটে হয়তো আমরা অতোটা ক্ষতিগ্রস্ত হবো না।"
মূল্যস্ফীতি কমবে ধারণা করেছিলেন উল্লেখ করে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, "আমাদের একটি স্টাডি ছিল, বৈশাখ ও অগ্রহায়ণ মাসে আমাদের দেশের গ্রাম-গঞ্জসহ প্রায় প্রতি ঘরেই যথেষ্ট পরিমাণ চাল থাকে। সেখান থেকেই আমার ধারণা ছিল, বর্তমান সময়ে মুদ্রাস্ফীতি কমবে।"
অনুষ্ঠানে গেস্ট অব অনার হিসেবে বক্তব্য রাখেন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা ড. হোসেন জিল্লুর রহমান। তিনি বলেন,"নিয়ম, পরিসংখ্যান এবং জনশক্তি (রুলস, স্ট্যাটিস্টিকস হিউম্যান হ্যান্ড) বা ব্যবস্থাপনা হলো ইকনোমিক গভর্নেন্সের তিনটি পিলার। ব্যাংকিং খাতে নিয়ম আছে ঠিকই; কিন্তু যে সেটি প্রয়োগ করে, সে হয়তো ঠিকভাবে তা করছে না। এই খাতের পুরো অবস্থা বুঝতে গভর্নেন্সকে ভালোমতো ব্যাখ্যা করতে হবে।"
অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বিএলএফসিএ-র সাবেক চেয়ারম্যান মো. খলিলুর রহমান। স্বাগত বক্তব্য দেন প্রকাশিত গ্রন্থের নির্বাহী সম্পাদক সৈয়দ জিয়াউদ্দিন আহমেদ।
বক্তারা বলেন, ব্যাংকিং অ্যালমানাক দেশের সকল ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের হালনাগাদ তথ্যসমৃদ্ধ গবেষণাগ্রন্থ। এতে ৬০টি ব্যাংক, ৩১টি নন-ব্যাংকিং ফিন্যান্সিয়াল ইনস্টিটিউশন বা এনবিএফআই এবং ৪টি স্পেশালাইজড ব্যাংকের তথ্য-উপাত্ত দেওয়া হয়েছে। এই খাতের একটি তুলনামূলক চিত্র এবং গতিপ্রকৃতি ফুটে উঠেছে ব্যাংকিং অ্যালমানাক গ্রন্থের সূচিবিন্যাসে।
তারা আরও বলেন, গবেষক ও বিনিয়োগকারীদের জন্য 'ব্যাংকিং অ্যালমানাক' গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে। বিশেষ করে বিদেশি এবং দেশি-বিদেশি গবেষণা সংস্থা, যারা ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান নিয়ে কাজ করে, তাদের জন্য এই ব্যাংকিং অ্যালমানাক খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তারা এ বইটিতে বাংলাদেশের ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সব তথ্য একসঙ্গে পাবেন; যা তাদের বিনিয়োগ সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত নিতে সহায়তা করবে। শুধু তাই নয়, গ্রন্থটি ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের কর্পোরেট গভর্নেন্সের জবাবদিহিতার বিষয়টিকেও আরো শক্তিশালী করবে।
অর্থসংবাদ/এসএম