রোববার (৮ জানুয়ারি) জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
মেলায় অধিদপ্তরের কার্যক্রম প্রসঙ্গে জানতে চাইলে উপ-পরিচালক (প্রশিক্ষণ ও প্রচার) আতিয়া সুলতানা বলেন, মেলা শুরু হয়েছে, প্রথম থেকে আমরা তদারকি করছি। ক্রেতা-বিক্রেতাদের সচেতনতামূলক পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।
তিনি জানান, মেলায় ‘হল বি’তে অধিদপ্তরের অস্থায়ী কার্যালয় করা হয়েছে। ভোক্তাদের কোনো পণ্য, খাবার ও সেবা ক্রয় করে ক্ষতিগ্রস্ত বা প্রতারিত হলে তাৎক্ষণিক প্রতিকার এবং ক্ষতিপূরণ প্রদান করা হবে। মেলায় আগত ভোক্তারা বাণিজ্য মেলায় কোনো পণ্য, খাবার ও সেবা ক্রয় করে ক্ষতিগ্রস্ত বা প্রতারিত হলে অধিদপ্তরের মেলা কার্যালয়ে অভিযোগ করলে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
গত ১ জানুয়ারি মাসব্যাপী আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলার উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এটি ঢাকার ২৭তম আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা। ১৯৯৫ সাল থেকে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর যৌথ উদ্যোগে আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে। দেশীয় পণ্যের প্রচার, প্রসার, বিপণন ও উৎপাদনে সহায়তার জন্য এ মেলার আয়োজন করা হয়। আগে বাণিজ্য মেলা শেরে বাংলা নগরের চীন-মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রের পাশের খোলা মাঠে অনুষ্ঠিত হতো। ২০২২ সাল থেকে পূর্বাচলের বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ-চায়না ফ্রেন্ডশিপ এক্সিবিশন সেন্টার প্রাঙ্গণ মেলার জন্য জায়গা নির্ধারিত হয়েছে।
এবারের বাণিজ্য মেলায় ১০টি দেশের ১৭টি প্রতিষ্ঠান অংশ নিয়েছে। মেলা প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত খোলা থাকছে। তবে সাপ্তাহিক বন্ধের দিন রাত ১০টা পর্যন্ত মেলা চলে। এবার মেলায় প্রবেশ মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য ৪০ টাকা এবং অপ্রাপ্ত বয়স্কদের জন্য ২০ টাকা। মেলার টিকিট অনলাইনে কিনলে ৫০ শতাংশ ছাড়ের সুযোগ থাকবে। এছাড়াও মেলায় প্রায় এক হাজার গাড়ি পার্কিংয়ের ব্যবস্থাসহ বিদেশি প্রতিষ্ঠানের জন্য ১৭টি প্যাভিলিয়ন, মিনি প্যাভিলিয়ন ও স্টল রয়েছে। দেশি ও বিদেশি প্রতিষ্ঠানের জন্য দুটি হলের বাইরে মিলে মোট ৩৩১টি স্টল, প্যাভিলিয়ন ও মিনি প্যাভিলিয়ন রয়েছে।
অর্থসংবাদ/এসএম