সোমবার (১৬ জানুয়ারি) সকাল ১১টায় প্রধানমন্ত্রী ভার্চ্যুয়ালি সারাদেশে ৫০টি মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী ফরিদুল হক খান। উদ্বোধন শেষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সে রাজশাহী, শরিয়তপুর জেলা সদর মসজিদ ও কুমিল্লার চৌদ্দ গ্রাম উপজেলা মসজিদের সঙ্গে যুক্ত হয়ে মডেল মসজিদের ইমাম, স্থানীয় জনপ্রতিনিধিসহ মুসল্লিদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন।
এদিন রাজশাহী নগরীর মহানগর মডেল মসজিদসহ বিভাগের ৯টি মডেল মসজিদের উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। রাজশাহী নগরীর ‘মহানগর মডেল মসজিদ’সহ বিভাগের ৯টি মডেল মসজিদের উদ্বোধন করা হয়। এসব মডেল মসজিদের নির্মাণ কাজ আগে শেষ হলেও মসজিদগুলো উদ্বোধনের অপেক্ষায় ছিল। রাজশাহী মহানগরী, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, নাটোর, নওগাঁ ও সিরাজগঞ্জে একটি করে মডেল মসজিদ উদ্বোধন করা হয়। এছাড়া বগুড়া ও পাবনায় দুটি করে মডেল মসজিদ রয়েছে। এর মধ্যে রাজশাহী মহানগরীর উপশহর এলাকায় অবস্থিত ‘মহানগর মডেল মসজিদ’ চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর, বগুড়ার ধুনট ও নন্দ্রিগ্রাম, নওগাঁর নিয়ামতপুর, নাটোরের বড়াইগ্রাম, পাবনার ভাঙ্গুড়া ও সুজানগর এবং সিরাজগঞ্জের কাজীপুরে এই মডেল মসজিদগুলো প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উদ্বোধন করেন।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ছিলেন, আওয়ামী লীগের প্রসিডিয়াম সদস্য ও রাজশাহী সিটি করপোরেশনের মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন, রাজশাহী-২ আসনের সংসদ সদস্য ফজলে হোসেন বাদশা, রাজশাহী রেঞ্জের ডিআইজি আবদুল বাতেন, পুলিশ কমিশনার আনিসুর রহমান, জেলা প্রশাসন আবদুল জলিল, পুলিশ সুপার এবিএম মাসুদ হোসেন।
রাজশাহী গণপূর্ত অধিদফতর-১ এর নির্বাহী প্রকৌশলী হারুন অর রশিদ জানান, প্রতিটি জেলা ও উপজেলায় ১টি করে ৫৬০টি মডেল সমসিজদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র স্থাপন (২য় সংশোধিত) শীর্ষক প্রকল্প। এরমধ্যে রাজশাহী জেলায় ১১টি মডেল মসজিদ নির্মিত হচ্ছে। ইতোমধ্যে ২টি (পবা ও গোদাগাড়ি) মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র উদ্বোধন হয়েছে। রাজশাহী মহানগর মডেল মসজিদটি ৪ তলা ভিত বিশিষ্ট, ৪ তলা ভবন। ভবনের আয়তন ৪ হাজার ৩৩৮.০০ বর্গমিটার।
ফ্লোর ভিত্তিক ভবনের সুবিধাগুলো হচ্ছে নীচ তলায় গাড়ি পার্কিং, মরদেহ গোসলকরণ কক্ষ, বিক্রয় শাখা, ডাইনিং রুম (৪০ জন ধারণ ক্ষমতা সম্পন্ন), অটিজম কর্ণার, গণশিক্ষা, অপেক্ষমান কক্ষ। দ্বিতীয় তলায় রয়েছে নামাজের স্থান, লাইব্রেরী, উপ-পরিচালকের অফিস, সহকারী পরিচালকের অফিস, সাধারণ অফিস কক্ষ, ইসলামিক গবেষণা এবং ই-কর্ণার। তৃতীয় তলায় রয়েছে নামাজের স্থান, সভাকক্ষ, মাল্টি পারপাস হল (১০০ জনের জন্য)। এছাড়া চতুর্থ তলায় রয়েছে, হেফজখানা (২৫ জন ছাত্র), ভিআইপি রেস্ট রুম দুইটি, হুজুরাখানা। এছাড়াও ভবনের নিরাপত্তার জন্য সার্বক্ষণিক সিসি ক্যামেরা ও নিজস্ব অগ্নি নিরোধক ব্যবস্থা রয়েছে। নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহের জন্য নিজস্ব ২০০ কেভিএ সাব-স্টেশন ও ৩০ কেভিএ জেনারেটরের ব্যবস্থা রয়েছে।