রোববার (১৫ জানুয়ারি) দুপুর ১২টা থেকে ১টা পর্যন্ত গণভবনে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
বৈঠক সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
বৈঠকে বিএসইসির চেয়ারম্যান পুঁজিবাজার পরিস্থিতি সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অবহিত করেন। এ সময়ে তিনি পুঁজিবাজারের উন্নয়নে গৃহীত বিভিন্ন পদক্ষেপ তুলে ধরেন। দেশের অর্থনীতি যেভাবে বিকশিত হচ্ছে, ঠিক একইভাবে পুঁজিবাজারকেও বিকশিত করতে প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা দেন প্রধানমন্ত্রী।
জানা গেছে, বাংলাদেশ ব্যাংকের হস্তক্ষেপে বন্ডে বিনিয়োগকে পুঁজিবাজার এক্সপ্রোজারের বাহিরে রাখতে ব্যাংক কোম্পানি আইন সংশোধন করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। আগামী কেবিনেট মিটিংয়ে এই আইনটি পাশ করা হবে বলে নির্ভরযোগ্য সূত্র থেকে জানা গেছে। আর এটি যেন দ্রুত পাশ করা হয়, সে বিষয়টি গুরুত্বসহকারে দেখছেন প্রধানমন্ত্রী।
এছাড়া প্রধানমন্ত্রী পুঁজিবাজার উন্নতির জন্য যেসব পদক্ষেপ গ্রহণ করা বা পলিসিলিগত পরিবর্তন কারার প্রয়োজন তা নিয়ে অতিদ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য নির্দেশনা দেন।
আইসিবির ক্রয় ক্ষমতা বৃদ্ধি করে পুঁজিবাজারকে গতিশীল করার লক্ষ্যে ডিপোজিটরি ফান্ডকে পুঁজিবাজার এক্সপ্রোজার লিমিটের আওতার বাহিরে রাখার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এ উদ্যোগ বাস্তবায়ন হলে প্রায় ৬ হাজার কোটি টাকা পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ করার সক্ষমতা ফিরে পাবে আইসিবি। এই আইনটি দ্রুত পাশ করানোর জন্য দিক নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।
সূত্র জানায়, একটি বোর্ড মিটিংয়ের মাধ্যমে প্রস্তাব তৈরি করে বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছে পাঠবে আইসিবি। পরবর্তীতে বাংলাদেশ ব্যাংক এ বিষয়টি যেন দ্রুত পাশ করে, সে জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবেন বলে জানিয়েছেন সরকারপ্রধান।
যে কোনো ঋণের ক্ষেত্রে ১ শতাংশ সাধারণ সঞ্চিতি রাখতে হয়। অথচ পুঁজিবাজার সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানকে ঋণ দিলে ২ শতাংশ সাধারণ সঞ্চিতি রাখতে হয়। এ বিষয়টি ব্যাংকগুলোকে পুঁজিবাজারে বিনিয়োগে বৈষম্য সৃষ্টি করে। ফলে এ বৈষম্য ব্যাংকগুলোকে পুঁজিবাজার সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানকে ঋণ দেওয়ার ক্ষেত্রে নিরুৎসাহিত করে। বৈঠকে বৈষম্যের বিষয়টি প্রধানমন্ত্রীর কাছে তুলে ধরা হয়েছে। তিনি এ সমস্যা দ্রুত সমাধানের আশ্বাস দিয়েছেন।
বাংলাদেশ ব্যাংক ডিজিএম মো. আমিনুর রহমান চৌধুরী দীর্ঘ ১২ বছর ধরে পুঁজিবাজারের অগ্রযাত্রাকে বাধাগ্রস্ত করে তথা সরকারের ভাবমূর্তী বিনষ্ট করার চক্রান্ত করে যাচ্ছেন। তিনি বিগত বছরগুলোতে বাংলাদেশ ব্যাংকের ডিপার্টমেন্ট অব অফ-সাইট সুপারভিশনে দায়িত্বে থাকাকালীন সময়ে পুঁজিবাজারকে বিভিন্ন ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করার অপচেষ্টা করেছেন। এ বিষয়টিও বৈঠকে প্রধানমন্ত্রীর নজরে আনা হয়েছে।
পুঁজিবাজারের অগ্রযাত্রায় যেসব পলিসিলিগত পরিবর্তন বা পদক্ষেপ গ্রহণ করা প্রযোজন সেসব পদক্ষেগুলো দ্রুত বাস্তবায়নে সংশ্লিষ্ট দফরতকে সহায়তা করারও দিক নির্দেশনা দিবেন বলে জানান প্রধানমন্ত্রী। আর এসব বিষয়গুলো তিনি নিজে তত্ত্বাবধন করবেন বলেও জানিয়েছেন।
অর্থসংবাদ/এসএম