সোমবার (১৬ জানুয়ারি) আপিল বিভাগ এ আদেশ দেন। সংশ্লিষ্ট সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
এর আগে বছরের ১৩ নভেম্বর রাজধানীর দিলকুশার বাসিন্দা মো. রাজু হাসানের পক্ষে একটি রিট (রিট নম্বর: ১৩৭৪৯) দায়ের করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবি অ্যাডভোকেট মোস্তফা কামাল। রিটে বিজনেস নিউজ পোর্টাল অর্থসংবাদে প্রকাশিত ‘এসএমইতে দরপতন, পুঁজি হারানোর শঙ্কায় বিনিয়োগকারীরা’ শিরোনামের সংবাদটি সূত্র হিসেবে সংযুক্ত করা হয়েছিল।
রিট পিটিশন দায়েরের পর পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) কাছে এসএমই মার্কেটে বিনিয়োগসীমার কারণ জানতে চায় হাইকোর্ট। ১৬ নভেম্বর তিন মাসের জন্য এসএমইতে ৩০ লাখ টাকা বিনিয়োগের শর্ত স্থগিত করেন হাইকোর্ট। হাইকোর্টের আদেশের প্রেক্ষিতে উচ্চ আদালতে আপিল করেছিল বিএসইসি। তবে সংস্থাটির আপিল স্থগিত করেছে আপিল বিভাগ।
গত বছরের ১৬ সেপ্টেম্বর দুই স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই ও সিএসই) ওটিসি মার্কেট বাতিল করে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন। ওইদিন কমিশন সভায় ২৯ কোম্পানিকে তালিকাচ্যুত করে ৪১টি কোম্পানিকে এসএমই ও এটিবিতে (অলটারনেটিভ ট্রেডিং বোর্ড) স্থানান্তর করার সিদ্ধান্ত নেয়। পরবর্তীতে একই বছরের ৩০ সেপ্টেম্বর ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের এসএমই প্লাটফর্মে লেনদেন শুরু হয়। সেদিন প্রথমিকভাবে ছয়টি কোম্পানি নিয়ে ডিএসইর এসএমই প্লাটফর্মে লেনদেন চালু করা হয়। বর্তমানে এসএমইতে তালিকাভুক্ত কোম্পানি ১৫টি। এর মধ্যে ১৩ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার নিয়মিত লেনদেন হচ্ছে।
চলতি বছরের ২২ সেপ্টেম্বর সর্বশেষ এসএমই প্লাটফর্মের বিনিয়োগের জন্য বিনিয়োগের পরিমাণ নির্ধারণ করা হয়। বিএসইসির চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম স্বাক্ষরিত এ সংক্রান্ত একটি আদেশে বলা হয়, এসএমইতে লেনদেনে যোগ্য বিনিয়োগকারী হতে শেয়ারবাজারে ন্যূনতম ৩০ লাখ টাকা বিনিয়োগ থাকতে হবে। তবে আপিল বিভাগ বিএসইসির আপিল স্থগিত করে দেওয়ায় ২০ লাখ টাকা বিনিয়োগেই এসএমই মার্কেটে লেনদেন করতে পারবে বিনিয়োগকারীরা। আর মূল মার্কেটের মতো এসএমইতে সাধারণ বিনিয়োগকারীরা লেনদেন করতে পারবে কি না, সেটি হাইকোর্টের আদেশের পরই জানা যাবে।