২০১৯ সালের ব্যবসার তথ্য পর্যালোচনা করে কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদ লভ্যাংশ না দেয়ার এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। রোববার (১৬ আগস্ট) ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জকে (ডিএসই) এই সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়েছে।
এর ফলে শেয়ারবাজারে এই জীবন বীমা কোম্পানিটির স্থান হবে 'জেড' গ্রুপে। এর মাধ্যমে টানা দুই বছর ধরে 'জেড' গ্রুপে থাকছে কোম্পানিটি।
অবশ্য ২০১৩ সালে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত হওয়া কোম্পানিটির আগের লভ্যাংশের চিত্রও ভালো না। সর্বশেষ ২০১৭ সালে কোম্পানিটি থেকে বিনিয়োগকারীরা দুই শতাংশ বোনাস শেয়ার লভ্যাংশ পায়।
তার আগে ২০১৪ সালে ৬ শতাংশ এবং ২০১৩ ও ২০১২ সালে ৫ শতাংশ করে বোনাস শেয়ার লভ্যাংশ হিসেবে দিয়েছিল জীবন বীমা কোম্পানিটি।
লভ্যাংশ ঘোষণার কারণে আজ কোম্পানিটির শেয়ারের দাম বাড়ার ক্ষেত্রে কোনো সার্কিট ব্রেকার থাকবে না বলে জানিয়েছে ডিএসই। অর্থাৎ শেয়ারের দাম যতখুশি বাড়তে পারবে। তবে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) নির্ধারিত সীমার নিচে শেয়ারের দাম নামতে পারবে না।
লভ্যাংশের বিষয়ে কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদের নেয়া সিদ্ধান্ত শেয়ারহোল্ডারদের অনুমোদনের জন্য বার্ষিক সাধারণ সভার (এজিএম) তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে আগামী ২৯ সেপ্টেম্বর। ওইদিন সকাল ১০টা ১৫ মিনিটে ভার্চুয়ালে এই এজিএম অনুষ্ঠিত হবে।
এদিকে কোম্পানিটির ঘোষণা করা লভ্যাংশ পাওয়ার যোগ্য বিনিয়োগকারী নির্বাচনে রেকর্ড ডেট নির্ধারণ করা হয়েছে ৬ সেপ্টেম্বর। অর্থাৎ ওইদিন যেসব বিনিয়োগকারীর কাছে কোম্পানিটির শেয়ার থাকবে তারাই লভ্যাংশ পাবেন।