অর্থমূল্য বিবেচনায় বাংলাদেশ থেকে রফতানি হওয়া শীর্ষ পাঁচ পণ্য হলো পোশাক, হোমটেক্সটাইল, চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য, কৃষিপণ্য এবং পাট ও পাটজাত পণ্য। পরিসংখ্যান বলছে, চলতি অর্থবছরের প্রথম সাত মাসে দেশের মোট রফতানির ৯২ দশমিক ২৩ শতাংশজুড়েই ছিল এ পাঁচ পণ্য। ২০২১-২২ অর্থবছরের প্রথম আট মাসের তুলনায় চলতি অর্থবছরের একই সময়ে পোশাক রফতানি বেড়েছে ১৪ দশমিক শূন্য ৬ শতাংশ। তবে হোমটেক্সটাইল পণ্য রফতানি ২২ দশমিক ৫৩ শতাংশ কমেছে। চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য রফতানি বেড়েছে ৬ দশমিক শূন্য ৪ শতাংশ। পাট ও পাটজাত পণ্য রফতানিও কমেছে বা ঋণাত্মক প্রবৃদ্ধি হয়েছে ২৩ দশমিক ৬৮ শতাংশ এবং ২৬ দশমিক ৯৬ শতাংশ কমেছে কৃষিপণ্য রফতানি।
ইপিবি প্রকাশিত হালনাগাদ প্রতিবেদন অনুযায়ী, বাংলাদেশ থেকে সবচেয়ে বেশি যাওয়া পণ্য পোশাক, যা মোট রফতানির ৮৪ দশমিক ৫৮ শতাংশ। এ সময়ে বিশ্ববাজারে ৩ হাজার ১৩৬ কোটি ১৮ লাখ ৯০ হাজার ডলারের পোশাক রফতানি হয়েছে। গত অর্থবছরের একই সময়ে পাঠানো হয়েছিল ২ হাজার ৭৪৯ কোটি ৭০ লাখ ডলারের তৈরি পোশাক।
আট মাসের হিসাবে প্রবৃদ্ধির চিত্র যেমন ইতিবাচক, তেমনি মাসভিত্তিক পরিসংখ্যান বিশ্লেষণেও রফতানির ধনাত্মক পরিস্থিতি পরিলক্ষিত হচ্ছে। ইপিবির তথ্য বলছে, সদ্যসমাপ্ত ফেব্রুয়ারিতে বাংলাদেশ থেকে বিশ্ববাজারে রফতানি হয়েছিল ৪৬৩ কোটি ১ লাখ ৮০ হাজার ডলারের পণ্য। গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে পণ্য রফতানি হয়েছিল ৪২৯ কোটি ৪৫ লাখ ৩০ হাজার ডলারের। এ হিসাবে বছরের দ্বিতীয় মাসে রফতানি বেড়েছে বা ইতিবাচক প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৭ দশমিক ৮১ শতাংশ।