সোমবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন জানিয়েছিল, দুই মাসেরও বেশি সময় পর বিশ্বের শীর্ষ ধনীর খেতাব পুনরায় ফিরে পেয়েছিলেন ইলন মাস্ক। সে সময় তার সম্পদের পরিমাণ দাঁড়ায় ১৮৭ দশমিক ১ বিলিয়ন ডলার।
গত বছরের ডিসেম্বরে ইলন মাস্ককে পেছনে ফেলে বিশ্বের শীর্ষ ধনীর তকমা অর্জন করেন ফ্রেঞ্চ লাক্সারি ব্র্যান্ড এলভিএমএইচের সিইও বার্নার্ড আর্নল্ট। তবে ব্লুমবার্গ জানায়, সোমবার টেসলার শেয়ারের দাম বেড়ে গেলে ইলনের ব্যক্তিগত সম্পত্তির পরিমাণ বৃদ্ধি পায়।
ব্লুমবার্গ সূচক বলছে, এবার আবারও বার্নার্ড আর্নল্ট এক নম্বর অবস্থানে ফিরে এসেছেন। তার মোট সম্পদের পরিমাণ এখন ১৮৭ বিলিয়ন ডলার।
এরপর তালিকার তৃতীয় অবস্থানে রয়েছেন জেফ বেজোস। তার মোট সম্পদের পরিমাণ এখন ১১৬ বিলিয়ন ডলার। এই তালিকার চার নম্বরে রয়েছেন মাইক্রোসফটের প্রতিষ্ঠাতা বিল গেটস। তার সম্পদের পরিমাণ এখন ১১৪ বিলিয়ন ডলার।
২০২২ সালের ৯ এপ্রিল টুইটারের ৯ দশমিক ৩ শতাংশ শেয়ার কিনে প্রতিষ্ঠানটির সবচেয়ে বড় শেয়ারহোল্ডার হয়ে ওঠেন ইলন মাস্ক। এর পরের সপ্তাহে টুইটার কিনতে ৪ হাজার ৩০০ কোটি ডলারের প্রস্তাব দেন টেসলা সিইও। অবশেষে সোশ্যাল মিডিয়া জায়ান্ট টুইটার কেনা নিশ্চিত করেন বিশ্বের শীর্ষ ধনী ইলন মাস্ক। ২৭ অক্টোবর এক টুইটে টুইটার কেনার বিষয়টি নিশ্চিত করে, বিশ্বের জনপ্রিয় এ সোশ্যাল মিডিয়া কেন কিনলেন, এর ভবিষ্যৎ নিয়ে পরিকল্পনা কী সে বিষয়েও নিজের অবস্থান পরিষ্কার করেন টেসলা সিইও।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম টুইটার কেনার পর থেকে কর্মী ছাঁটাই নিয়ে ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়েন ইলন মাস্ক। চার হাজার ৪০০ কোটি ডলার মূল্যে টুইটার কিনে নেন বিশ্বের এই ধনকুবের। দায়িত্ব নেওয়ার পরপরই টুইটারের শীর্ষ নেতাদের বরখাস্ত করেন তিনি। এরপর টিমের সদস্যদের নিয়ে টুইটারের সফটওয়্যার কোডসহ অন্যান্য বিষয়ে অনুসন্ধান শুরু করেন। ভেঙে দেন পরিচালনা পর্ষদও।