সোমবার (১৩ মার্চ) বিকালে বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন শেখপাড়া বাজারে এ ঘটনা ঘটে।
জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের মফিজ লেকে কিছু শিক্ষার্থীদের আড্ডা দেওয়ার সময় স্থানীয় বখাটে তাদের সাথে থাকা মেয়ে বান্ধবীদের ভিডিও করে। এর প্রতিবাদে তারা ভিডিও ডিলিট করতে বললে উভয় পক্ষের বাকবিতন্ডা হয়। এর প্রেক্ষিতে বখাটে ছেলেরা তাদের মধ্যে দুইজন শিক্ষার্থীকে শেখপাড়া বাজারে পেয়ে চলন্ত মোটরসাইকেল থেকে ফেলে দিয়ে এলোপাতাড়ি মারধর করে।
এ ঘটনা জানাজানি হলে শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক সংলগ্ন মহাসড়ক অবরোধ করেন। তারা বহিরাগতমুক্ত ক্যাম্পাস, শিক্ষার্থী হামলার বিচার ও নিরাপদ ক্যাম্পাসের দাবিতে এ বিক্ষোভ করেন। এসময় প্রায় পাঁচ শতাধিক শিক্ষার্থী উপস্থিত হন। কুষ্টিয়া খুলনা মহাসড়ক অবরোধের ফলে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়।
ইবি থানার ভারপ্রাপ্ত ওসি আননূর জায়েদ বিপ্লব বলেন, আমরা বিষয়টি নজরে রাখছি। অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা এড়াতে আমরা প্রস্তুত রয়েছি। গেটে পুলিশ মোতায়ন রয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. শাহাদৎ হোসেন আজাদ বলেন, ঘটনা শোনা মাত্রই ইবি থানার ওসি ও সহকারী প্রক্টরদের সেখানে পাঠিয়েছি। পরবর্তীতে আমি দুইজন সহকারী প্রক্টর নিয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। পুলিশ প্রশাসন ও গোয়েন্দা সংস্থা যারা আছে তাদের নিয়ে বসেছি। আমাদের কোনো শিক্ষার্থীকে যদি মারধর করা হয়ে থাকে তাহলে ব্যবস্থা গ্রহণ করবো। তবে এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ক্যাম্পাস উত্তপ্ত করা, জনগণের জানমালের ক্ষতি, রাস্তা আটকে মানুষের ভোগান্তি সৃষ্টি করা সমর্থন করিনা। আহতদের ইতিমধ্যে ক্যাম্পাসে চিকিৎসা দিয়ে কুষ্টিয়া পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনার সাথে যারা জড়িত অচিরেই তাদের ব্যবস্থা নেয়া হবে।
অবশেষে পুলিশ প্রশাসন জড়িতদের গ্রেফতারে আশ্বস্ত দিলে আন্দোলনকারীরা মহাসড়ক থেকে সরে আসে। এরপর সড়কের যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।
অর্থসংবাদ/সাকিব/এসএম