অনুমোদিত খসড়া বিলে, বিনিয়োগ সীমায় প্রত্যেক ব্যাংক-কোম্পানি এমনভাবে বিনিয়োগ পোর্টফোলিও সাজানোর কথা বলা হয়েছে, যেখানে কর্পোরেট বন্ড ও ডিবেঞ্চারকে বাদ দেওয়া হয়েছে। ওই বিনিয়োগ সীমার মধ্যে সব ধরনের শেয়ার ও মিউচ্যুয়াল ফান্ড থাকবে। এছাড়া ব্যাংকের বিনিয়োগকে বাজারমূল্যের পরিবর্তে ক্রয়মূল্যে বিবেচনায় নিতে খসড়া বিল অনুমোদন করা হয়েছে। যা বর্তমানে বাংলাদেশ ব্যাংকের বিশেষ নির্দেশনায় পরিপালন করা হচ্ছে।
বন্ডকে এই বিনিয়োগ সীমার বাহিরে রাখার মাধ্যমে ব্যাংকগুলোর শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ করার সক্ষমতা বাড়বে। যা শেয়ারবাজারে ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে বলে মনে করেন বাজার সংশ্লিষ্টরা।
পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) নির্বাহী পরিচালক ও মূখপাত্র মোহাম্মদ রেজাউল করিম বলেন, কমিশন অনেকদিন ধরেই বন্ডকে বিনিয়োগ সীমার বাহিরে রাখার জন্য কাজ করে আসছে। এখন সেটি যদি মন্ত্রীসভায় সংশোধনী বিলে অনুমোদন দিয়ে থাকে, তাহলে এটি জাতীয় সংসদেও পাশ হবে বলে আশা করা যায়। এতে করে ব্যাংকগুলোর শেয়ারবাজারে বিনিয়োগের অনেক সুযোগ বাড়বে। যার ফলে অনেক ব্যাংক নতুন নতুন বিনিয়োগ নিয়ে আসবে। এতে করে শেয়ারবাজারে ইতিবাচক প্রভাব পড়বে।
এর আগে ২০২১ সালের ৩০ নভেম্বর বাংলাদেশ ব্যাংক ও বিএসইসির মধ্যে আয়োজিত এক সভায় বিনিয়োগ সীমায় ব্যাংক ও লিজিং কোম্পানির বন্ডের বিনিয়োগকে অন্তর্ভূক্ত করবে না বলে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।