আগস্ট মাসে দেশের পুঁজিবাজারে নতুন করে ১৯ হাজার ১৩৪টি নতুন বেনিফিশিয়ারি ওনার্স (বিও) অ্যাকাউন্ট খুলেছেন বিনিয়োগকারীরা।
দীর্ঘ দিন পর বিনিয়োগকারীদের মধ্যে কিছুটা আস্থা বাড়ায় করোনার এই মাসেও বিনিয়োগকারীরা বাজারমুখী হচ্ছেন।
বাজার সংশ্লিষ্টরা বলছেন, নতুন কোম্পানির প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের (আইপিও) অনুমোদন, পানির দামে থাকা কোম্পানিগুলোর শেয়ারের দাম বৃদ্ধি এবং বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের বেশ কিছু উদ্যোগের ফলে ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করেছে পুঁজিবাজার। আর তাতে বিনিয়োগকারীরা নতুন করে বাজারে ঝুঁকছেন।
বিনিয়োগকারীদের শেয়ার সংরক্ষণকারী প্রতিষ্ঠান সেন্ট্রাল ডিপোজিটরি অব বাংলাদেশের (সিডিবিএল) তথ্য মতে, পহেলা আগস্ট বিনিয়োগকারীদের বিও অ্যাকাউন্ট ছিলো ২২ লাখ ৯৯ হাজার ১৪০টি।
সেখান থেকে এক মাসের ব্যবধানে অর্থাৎ ২ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সময়ে বিও হিসাব ১৯ হাজার ১৩৪টি বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৩ লাখ ১৮ হাজার ২৭৪টিতে।
অর্থাৎ একজন বিনিয়োগকারী যদি একটি করে বিও হিসাব খুলেন তাহলে নতুন করে বিনিয়োগকারী এসেছে ১৯ হাজার ১৩৪জন। এটি পুঁজিবাজারের জন্য ইতিবাচক।
লংকাবাংলা সিকিউরিটিজের ট্রেডার নাদিম আহমেদ অর্থসূচককে বলেন, জুলাইয়ের শেষ সপ্তাহ থেকে নতুন করে বিও অ্যাকাউন্ট খুলছে বিনিয়োগকারীরা।
তবে এই অ্যাকাউন্ট ধারীরা বেশির ভাগই প্রাইমারী মাকের্টে বিনিয়োগ করবে। কারণ হিসেবে তিনি বলেন, নতুন কোম্পানির আইপিওর অনুমোদন বন্ধ থাকায় চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাস থেকে বিও অ্যাকাউন্ট খোলা বন্ধ করে দিয়েছে বিনিয়োগকারীরা।
নতুন কমিশন সম্প্রতি বেশ কিছু কোম্পানির আইপিও অনুমোদন দিয়েছে। আর তাতেই নতুন করে অ্যাকাউন্ট খুলতে শুরু করেছে বিনিয়োগকারীরা। তার একমত পোষণ করেন ডিএসইর পরিচালক ও সাবেক সভাপতি শাকিল রিজভী।
তিনি বলেন, আমাদের বাজারে প্রকৃত বিনিয়োগকারী কম। এখন যারা নতুন বিও অ্যাকাউন্ট খুলছেন তাদের বেশির ভাগই আইপিওতে আবেদন করতে চান। তা না হলে বাজারের এই অবস্থা থাকতো না।