বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ১২টা ১৫ মিনিটে রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। মাহে আলম শ্বাসকষ্টসহ বার্ধক্যজনিত অন্যান্য রোগে ভুগছিলেন।
মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী, দুই ছেলে, মেয়ে, পুত্রবধূ, মেয়েজামাই, নাতি-নাতনি, আত্মীয়-স্বজন, বন্ধু ও অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।
তিনি বাংলাদেশ টেলিভিশনের সংবাদ উপস্থাপক ও সরকারের অতিরিক্ত সচিব দেওয়ান সাঈদুল হাসানের শ্বশুর এবং অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের উপসচিব সামিয়া আলমের বাবা।
শুক্রবার বাদ জুমা ধানমন্ডি ৭ নম্বর রোডের বায়তুল আমান জামে মসজিদে মরহুমের প্রথম জানাজার নামাজ হয়। বাদ আসর মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগর উপজেলার রাঢ়িখাল গ্রামের বাড়িতে দ্বিতীয় জানাজার নামাজ শেষে তাকে পারিবারিক কবরস্থানে দাফনের কথা রয়েছে।
মাহে আলম ১৯৪১ সালে ঢাকায় জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইংরেজি সাহিত্যে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেন। যুক্তরাজ্যের ক্যামব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ে উন্নয়ন বিষয়ে ডিপ্লোমা সম্পন্ন করেন। ১৯৬৬ সালে তিনি তৎকালীন সিভিল সার্ভিসে যোগদান করেন।
১৯৭২-৭৩ সময়কালে প্রধানমন্ত্রীর একান্ত সচিব পদে কর্মরত থাকাকালে তিনি বঙ্গবন্ধুর নিবিড় সান্নিধ্যলাভের সৌভাগ্য অর্জন করেন। পরে সরকারের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পালন করেন। সংস্থাপন মন্ত্রণালয়সহ একাধিক মন্ত্রণালয়ের সচিব ছিলেন মাহে আলম। এছাড়া তিনি গণসাহায্য সংস্থার প্রধান এবং জাতীয় মজুরি ও উৎপাদনশীলতা কমিশনের চেয়ারম্যান হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন।