আমরা জানি মহাকাশের কোথাও পানি বা বাতাস নেই। তেমন নেই শব্দও। অথচ বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন কিছু সময় বাদে বাদেই রেডিও সিগন্যাল আসছে পৃথিবীতে। তা যে স্পেস সেন্টার বা পৃথিবী থেকে পাঠানো কোনো যন্ত্র থেকে নয়, সে বিষয়ে তারা নিশ্চিত। তবে কারা পাঠাচ্ছে এই বেতার-বার্তা? সেই উত্তর খুঁজে চলেছেন মহাকাশবিজ্ঞানীরা।
রেডিও সিগন্যালের ফ্রিকোয়েন্সি এবং পৃথিবীতে আসার সময় হিসেব করে তারা বের করেছেন যে পৃথিবী থেকে ১২ হাজার আলোক বর্ষ দূরের কোনো গ্রহ কিংবা নক্ষত্র, বিজ্ঞানের ভাষায় যাকে- এক্সোপ্ল্যানেট বলে সেখান থেকে আসছে এই বেতার-বার্তা। প্রশ্ন উঠছে সেখানেই তবে কি ভিনগ্রহীদের অস্তিত্ব এবং পৃথিবীর বাইরেও প্রাণের স্পর্শের খোঁজ মিলতে পারে?
মহাকাশবিজ্ঞান বলে, পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে যে চৌম্বকীয় ক্ষেত্র (ম্যাগনেটিক ফিল্ড) রয়েছে তা বহির্বিশ্বের ক্ষতিকর রশ্মিকে (এনার্জি পার্টিকল এবং প্লাজমা রশ্মি) আটকে প্রাণ বাঁচানোর কাজ করে চলেছে। পাশাপাশি এই ক্ষেত্রটি আছে বলেই রেডিও সিগন্যালও সেই মতো কাজ করে এবং বাইরের থেকে এই নিয়মে সঙ্কেত পাঠানো যায়। তবে কি এমন কোনো পৃথিবী মহাকাশে আছে যেখানে প্রাণের স্পর্শ রয়েছে, যারা পাঠাচ্ছে এই রেডিও সিগন্যাল?
বিজ্ঞানীরা দেখেছেন ওয়াইফজেড চেটি নামের কোনো নক্ষত্র থেকে এই শক্তিশালী বেতার বার্তা আসছে নির্দিষ্ট সময় পর পর। নিউ মেক্সিকোতে বসানো কার্ল জে, জ্যানস্কি নামের শক্তিশালী টেলিস্কোপটি দিয়ে তার খোঁজও চালানো হচ্ছে। যদিও সেই সিগন্যালের অর্থ এখনো অধরাই বলে জানান হয়েছে।
কলরাডো বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাস্ট্রোফিজিক্সের গবেষক সেবেস্তিয়ান পিনেডা বলেছেন, ‘আমরা একটি প্রাথমিক সিগন্যাল বার্স্ট লক্ষ্য করি। সত্যিই সেটা চমকে দেওয়ার মতো। এরপর বেশ কয়েকবার এই সিগন্যাল আসে যা বুঝিয়ে দেয়, হয়তো কোথাও কিছু একটা রয়েছে।’ গবেষকরা এও জানিয়েছেন, গ্রহ হোক কিংবা নক্ষত্র ম্যাগনেটিক ফিল্ড না থাকলে এমন শক্তিশালী রেডিও সিগন্যাল পাঠানো অসম্ভব। যেহেতু একাধিকবার সিগন্যাল পৃথিবীতে এসে পৌঁছেছে তার সঠিক অবস্থান এবং উত্তর পেতে মরিয়া মহাকাশ গবেষকরাও।
অর্থসংবাদ/এসএম