রেলের টিকিট কাটতে ১২ বছর বা তার বেশি বয়সী সবাইকে নিবন্ধন করতে হবে। কাউন্টার, অনলাইন ও মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে টিকিট কিনতে চাইলে যাত্রীরা অনলাইন অথবা মোবাইল এসএমএসের মাধ্যমে যেকোনো সময় বাংলাদেশ রেলওয়ের টিকিটিং সিস্টেমে খুব সহজে নিবন্ধন সম্পন্ন করতে পারবেন।
টিকিট কেনার আগে প্রত্যেক যাত্রীকে জাতীয়-পরিচয়পত্র নম্বর, জন্মনিবন্ধন সনদ বা পাসপোর্ট যাচাই করে রেজিস্ট্রেশন বা নিবন্ধন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হবে। অনলাইনে টিকিট কেনার সময় যে যাত্রী ভ্রমণ করবেন তার জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) লাগবে কারণ যাত্রীর এনআইডি যাচাই করা হবে।
যদি কাউন্টার থেকে টিকিট কিনতে চান তাহলে আগাম নিবন্ধন করতে হবে। মোবাইল ফোন থেকে এসএমএসের মাধ্যমে নিবন্ধন করতে পারবেন। তারপর এনআইডি দেখিয়ে স্টেশন থেকে টিকিট পাওয়া যাবে।
অনলাইনে ট্রেনের টিকিট কাটতে বাংলাদেশ রেলওয়ের অফিশিয়াল ওয়েবসাইটে (eticket.railway.gov.bd) ‘রেজিস্টার’ অপশনে গিয়ে মোবাইল নম্বর, এনআইডি নম্বর ও জন্ম তারিখ দিয়ে নিবন্ধন করতে হবে। আপনার নম্বর যদি আগে থেকেই নিবন্ধিত থাকে তাহলে ‘লগ ইন’ করতে হবে।
তারপর কোন স্থান থেকে ট্রেনে উঠবেন, গন্তব্য, ভ্রমণের তারিখ, কোন শ্রেণিতে ভ্রমণ করবেন সেসব অপশন নির্বাচন করলে পছন্দের সিট বেছে নেওয়ার অপশন পাবেন। এরপর কোন সিট নিতে চান সেটা সিলেক্ট করুন। এবার অনলাইনে পেমেন্ট সম্পন্ন করলেই টিকিট আপনার নামে বুক হয়ে যাবে।
এ ছাড়া চাইলে ‘rail sheba app’-এ গিয়ে সাইন আপ করেও টিকিট কাটা যাবে এ জন্য একই ধরনের তথ্য দিয়ে নিবন্ধন সম্পন্ন করতে হবে।
আবার কাউন্টারে টিকিট করার ক্ষেত্রে মোবাইল থেকে মেসেজ অপশনে গিয়ে টাইপ করতে হবে BR
যাদের জাতীয় পরিচয়পত্র নেই বা যাদের বয়স ১২ থেকে ১৮ বছরের মধ্যে, তারা বাবা বা মায়ের জাতীয় পরিচয়পত্র দিয়ে নিবন্ধন করা অ্যাকাউন্ট অথবা নিজেদের জন্মনিবন্ধন নম্বর দিয়ে কিংবা জন্মনিবন্ধন সনদ আপলোড করে নিবন্ধনকৃত অ্যাকাউন্ট দিয়ে টিকিট কিনতে পারবেন।
এ ক্ষেত্রে টিকিটের ওপরে মুদ্রিত নামের সঙ্গে যাত্রীর সম্পর্ক যাচাইয়ের জন্য ভ্রমণের সময় বাধ্যতামূলকভাবে জন্মনিবন্ধন সনদের ফটোকপি সঙ্গে রাখতে হবে।
বিদেশি নাগরিকরা পাসপোর্ট নম্বর দিয়ে ও পাসপোর্টের ছবি আপলোড করে নিবন্ধন সম্পন্ন করবেন। সফলভাবে এনআইডি/পাসপোর্ট/জন্মনিবন্ধন যাচাই করে নিবন্ধন ছাড়া কোনো যাত্রী আন্তঃনগর ট্রেনের টিকিট কিনতে পারবেন না।
অর্থসংবাদ/এসএম