মঙ্গলবার (১১ এপ্রিল) অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) বৈঠকে চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য প্রকল্পটি উপস্থাপন করা হবে। রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে প্রধানমন্ত্রী ও একনেক সভাপতি শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে।
প্রকল্পের উদ্দেশ্য
২০২২ সালের বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত বাংলাদেশ রেলওয়ের সিলেট-ছাতক বাজার সেকশন পুনর্বাসনের মাধ্যমে উক্ত সেকশনে রেলযোগাযোগ পুনঃপ্রতিষ্ঠা, ক্ষতিগ্রস্ত রেলওয়ে এমব্যাংকমেন্ট, রেলপথ এবং সংশ্লিষ্ট অবকাঠামো পুনর্বাসন।
এছাড়া ভবিষ্যতে বন্যার ক্ষয়ক্ষতি এড়ানোর জন্য সহজে পানি নির্গমনের সুবিধার্থে প্রয়োজনীয় অবকাঠামো নির্মাণ ও রেলওয়ে এমব্যাংকমেন্টের উচ্চতা বৃদ্ধি করা। রেলযোগাযোগ পুনঃপ্রতিষ্ঠার পর কমিউটার ট্রেনের সংখ্যা বাড়ানোসহ মালবাহী ট্রেন চালুকরণের মাধ্যমে রাজস্ব আয় বৃদ্ধি এবং রেলপথ পুনর্বাসনের মাধ্যমে ট্রেনের গতিবৃদ্ধি ও ভ্রমণ সময় হ্রাস করা।
প্রকল্প এলাকা
সিলেট জেলার সিলেট সদর, সুনামগঞ্জ জেলার ছাতক উপজেলা। ২০২৩ সালের এপ্রিল হতে ২০২৬ সালের মার্চ পর্যন্ত প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে রেলওয়ে।
পরিকল্পনা কমিশন জানায়, প্রকল্পের মোট ব্যয় ২৪১ কোটি ৫৯ লাখ টাকা। বাকি অর্থ সরকারি কোষাগার থেকে মেটানো হবে।
প্রধান কার্যক্রম
৩৪ কিলোমিটার ক্ষতিগ্রস্ত রেলওয়ে এমব্যাংকমেন্ট ও রেলওয়ে ট্র্যাক পুনর্বাসন, বন্যার পানি সহজে নির্গমনের জন্য বিদ্যমান ৯টি ব্রিজ কালভার্টের অতিরিক্ত ব্রিজ-কালভার্ট নির্মাণ। তিনটি জরাজীর্ণ স্টেশন বিল্ডিং ও সংশ্লিষ্ট অবকাঠামো পুনর্বাসন এবং তিনটি স্টেশন নন-ইন্টারলক কালার লাইট সিগনালিং স্থাপন ও টেলিকমিউনিকেশন ব্যবস্থার সংস্কার।
পরিকল্পনা কমিশনের মতামত
প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে সিলেট-ছাতক সেকশনে রেলযোগাযোগ পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হবে এবং এর মাধ্যমে উক্ত অঞ্চলের জনগণ সহজে, কম খরচে ও স্বল্প সময়ে যাতায়াত ও পণ্য পরিবহনের সুযোগ পাবে। ফলে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড বৃদ্ধির পাশাপাশি পণ্য ও যাত্রী পরিবহন কার্যক্রম ত্বরান্বিত হবে। কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে। এছাড়া দারিদ্র্য বিমোচনে প্রকল্পটি বিশেষ ভূমিকা রাখবে।