জানা গেছে, বিদায়ী সপ্তাহে ৫ কার্যদিবসে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) ৪ হাজার ১২৩৯ কোটি ৪৩ লাখ ৭৮ হাজার ৬৩৩ টাকার লেনদেন হয়েছে। যা আগের সপ্তাহ থেকে ৯৫ কোটি ২১ লাখ ৬৫ হাজার ২৪৯ টাকা বা ২.৩০ শতাংশ বেশি হয়েছে। আগের সপ্তাহে লেনদেন হয়েছিল ৪ হাজার ১৪৪ কোটি ২২ লাখ ১৩ হাজার ৩৮৪ টাকার।
ডিএসইতে বিদায়ী সপ্তাহে গড় লেনদেন হয়েছে ১ হাজার ৫৯ কোটি ৮৫ লাখ ৯৪ হাজার ৬৫৮ টাকার। আগের সপ্তাহে গড় লেনদেন হয়েছিল ৮২৮ কোটি ৮৪ লাখ ৪২ হাজার ৬৭৭ টাকার। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইতে গড় লেনদেন ২৩১ কোটি ১ লাখ ৩১ হাজার ৯৮১ টাকা বেশি হয়েছে।
সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ৫৪.৬৫ পয়েন্ট বা ১.১২ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪ হাজার ৯২৭.৮২ পয়েন্টে। অপর সূচকগুলোর মধ্যে শরিয়াহ সূচক ১১.২১ পয়েন্ট বা ০.৯৯ শতাংশ এবং ডিএসই-৩০ সূচক ২৫.৩১ পয়েন্ট বা ১.৫০ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে যথাক্রমে ১১৪১.৮২ পয়েন্টে এবং ১৭১৫.৪১ পয়েন্টে।
বিদায়ী সপ্তাহে ডিএসইতে মোট ৩৬০টি প্রতিষ্ঠান শেয়ার ও ইউনিট লেনদেনে অংশ নিয়েছে। প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে দর বেড়েছে ১৭৮টির বা ৪৯.৪৪ শতাংশের, কমেছে ১৫৪টির বা ৪২.৭৭ শতাংশের এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ২৮টির বা ৭.৭৭ শতাংশের শেয়ার ও ইউনিট দর।
অপরদিকে, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) বিদায়ী সপ্তাহে টাকার পরিমাণে লেনদেন হয়েছে ১১৫ কোটি ৯ লাখ ৫৩ হাজার ৯৮৩ টাকার। আর আগের সপ্তাহে লেনদেন হয়েছিল ১৩৭ কোটি ৮৫ লাখ ১৪ হাজার ৬১০ টাকা। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে সিএসইতে লেনদেন ২২ কোটি ৭৫ লাখ ৬০ হাজার ৬২৭ টাকা বা ১৬.৫০ শতাংশ কমেছে।
সপ্তাহটিতে সিএসইর সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ১৯৩.৫৫ পয়েন্ট বা ১.৩৯ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৪ হাজার ৬৬.৫৭ পয়েন্টে। সিএসইর অপর সূচকগুলোর মধ্যে সিএসসিএক্স ৯৮.০১ পয়েন্ট বা ১.১৬ শতাংশ, সিএসই-৫০ সূচক ১০.৬৮ পয়েন্ট বা ১.০৫ শতাংশ এবং সিএসআই ১৯.৫৪ পয়েন্ট বা ২.১৭ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে যথাক্রমে ৮ হাজার ৪৮২.৯৫ পয়েন্টে, ১০২৯.৫৪ পয়েন্টে এবং ৯২০.৩১ পয়েন্টে। অপর সূচক সিএসই-৩০ সূচক ৫০.২৯ পয়েন্ট বা ০.৪১ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ১২ হাজার ২৫.২১ পয়েন্টে।
সপ্তাহজুড়ে সিএসইতে ৩০৮টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট লেনদেনে অংশ নিয়েছে। প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে ১৬৮টির বা ৫৪.৫৪ শতাংশের দর বেড়েছে, ১০২টির বা ৩৩.১১ শতাংশের কমেছে এবং ৩৮টির বা ১২.৩৩ শতাংশের দর অপরিবর্তিত রয়েছে।