প্রযুক্তি বিষয়ক ওয়েবসাইট টেকক্রাঞ্চের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ব্লুস্কাইতে টুইটারের মতো বেশ কয়েকটি ফিচার রয়েছে। বর্তমানে অ্যাপটির বেটা সংস্করণ চালু রয়েছে। ব্যবহারকারীর সংখ্যা প্রায় ২৫ হাজার। এতে সরাসরি বার্তা পাঠানোর মতো সুবিধা নেই।
আজকের পত্রিকা অনলাইনের সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন
২০১৯ সালে টুইটার-সমর্থিত একটি প্রকল্প হিসেবে পরিকল্পিত হয়েছিল ব্লুস্কাই। তবে, ২০২১ সালে টুইটার থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে আলাদা হয়ে যায় প্ল্যাটফর্মটি। পরবর্তীতে মাস্কের টুইটার অধিগ্রহণের পর মাস্টডনের মতো আরেকটি প্রতিদ্বন্দ্বীর তালিকায় নাম লিখেছে ব্লুস্কাই।
এর আগে, প্ল্যাটফর্মে অ্যালগরিদমের মার্কেটপ্লেস বানানোর পরিকল্পনার কথা জানায় প্রতিষ্ঠানটি। প্রযুক্তি বিষয়ক ওয়েবসাইট এনগ্যাজেটের প্রতিবেদন অনুযায়ী, নতুন এক ব্লগ পোস্টে ব্লুস্কাইয়ের সিইও জে গ্র্যাবার বলেছিলেন, ব্লুস্কাই এমন এক ‘অ্যালগরিদমের মার্কেটপ্লেস’ তৈরির লক্ষ্যস্থির করেছে, যা ব্যবহারকারীদের কনটেন্ট ফিল্টার ও সাজানোর উপায় নিয়ন্ত্রণ করতে দেবে।’
গ্র্যাবার আরও বলেছিলেন, ‘এই ব্যবস্থার ফলে প্ল্যাটফর্মে ডেভেলপারদের বিভিন্ন অ্যালগরিদম নিয়ে পরীক্ষা চালানোর ও সেগুলো প্রকাশের স্বাধীনতা দেবে। যে কেউই এগুলো ব্যবহার করতে পারবেন। ফলে ব্যবহারকারীরা নিজস্ব ফিড কাস্টমাইজ করা এবং তাদের সবচেয়ে মূল্যবান সম্পদ অর্থাৎ মনযোগ নিয়ন্ত্রণের সুবিধা তাদের ফিরিয়ে দেবে।’
অ্যালগরিদম ভিত্তিক মার্কেটপ্লেস বানানোর ধারণা এখনো প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে। গ্র্যাবার বলেছিলেন, ‘ব্লুস্কাই এখন ডেভেলপারদের এপিআই ফিড নিয়ে কাজ করছে। আর এতে একটি ‘ফিড সিলেকশন সিস্টেম’ থাকবে, যা ধীরে ধীরে ব্যবহারকারীদের বিভিন্ন থার্ড পার্টি ফিড ব্রাউজের সুযোগ করে দেবে, যেগুলো তারা চাইলে নিজেদের প্ল্যাটফর্মে যুক্ত করতে পারবেন।
২০২১ সালের নভেম্বরে টুইটারের প্রধান নির্বাহীর পদ থেকে সরে দাঁড়ান ডরসি। তাঁর স্থলাভিষিক্ত হন চিফ টেকনোলজি অফিসার পরাগ আগরওয়াল। টুইটারের সহপ্রতিষ্ঠাতা জ্যাক ডরসি ২০০৬ সালে প্রথম এই প্রতিষ্ঠানের প্রধান নির্বাহী হন। ২০০৮ সালে সরে দাঁড়ানোর পর ২০১৫ সালে পুনরায় টুইটারের সিইওর দায়িত্ব নেন।