বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রকাশিত সর্বশেষ হালনাগাদ প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।
তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশে ২৭১ কোটি ডলারের প্রত্যক্ষ বিনিয়োগ রয়েছে যুক্তরাজ্যের। এরমধ্যে ব্যাংকিং খাতে সর্বোচ্চ ১৪১ কোটি ডলারের বিনিয়োগ রয়েছে। এছাড়া টেক্সটাইল খাতে ৪৬ কোটি, খাদ্যে ৩১ কোটি এবং রাসায়নিক ও ফার্মাসিউটিক্যালস খাতে ১৫ কোটি ডলারের বিনিয়োগ রয়েছে। বাকি অর্থ দেশের অন্যান্য খাতে সরাসরি বিনিয়োগ করেছে।
এছাড়াও বাংলাদেশে জাপানের সরাসরি বিনিয়োগ রয়েছে ৬৭ কোটি ডলারের। এরমধ্যে ব্যাংক খাতে বিনিয়োগ মাত্র ১৯ লাখ ডলার।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, প্রত্যক্ষ বৈদেশিক বিনিয়োগ বা এফডিআইর ক্ষেত্রে সব দেশকে ছাড়িয়ে বাংলাদেশে শীর্ষে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। দেশটির মোট ৪১০ কোটি ডলারের সরাসরি বিনিয়োগ রয়েছে। এরমধ্যে ব্যাংক খাতে বিনিয়োগ করেছে ২০ কোটি ডলার। এছাড়া টেক্সটাইল খাতে ১২ কোটি, পাওয়ারে ১৬ কোটি, আর্থিক প্রতিষ্ঠানে ২৪ কোটি এবং বিমা খাতে ২৭ কোটি ডলারের সরাসরি বিনিয়োগ করেছে।
করোনার পরে বিশ্ব অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করেছিলো। এরপরে শুরু হয় রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ। এছাড়া উচ্চ মূল্যস্ফীতি ও জ্বালানি সংকটসহ বিভিন্ন কারণে বিশ্বব্যাপি ২০২২ সালে বিদেশি বিনিয়োগ কমেছে ২৪ শতাংশ। তবে অন্যান্য দেশের তুলনায় বাংলাদেশে বিনিয়োগ কম আসলেও তা আগের বছরের তুলনায় কিছুটা বেড়েছে।
তথ্য অনুযায়ী, দেশে মোট বিদেশি বিনিয়োগ ২ হাজার ১১৫ কোটি ৮২ লাখ ডলার। বাংলাদেশি মুদ্রায় ১০৬ টাকা ধরে যার পরিমাণ দাঁড়ায় ২ লাখ ২৪ হাজার ২৭৬ কোটি ৯২ লাখ টাকা। বিদেশি বিনিয়োগের ৪১০ কোটি ডলার এসেছে যুক্তরাষ্ট্র থেকে। যুক্তরাজ্য থেকে এসেছে ২৭১ কোটি ডলারের বিনিয়োগ। আর চীন থেকে বিনিয়োগ এসেছে ১৩৪ কোটি ডলার।
দেশের গ্যাস ও জ্বালানি তেলে বিদেশি বিনিয়োগ সবচেয়ে বেশি। এই খাতে বিদেশি বিনিয়োগের পরিমাণ ৩৮৭ কোটি ডলার। দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা টেক্সটাইল খাতে বিদেশি বিনিয়োগ ৩৮৪ কোটি ডলার। তৃতীয় অবস্থানে থাকা খাত ব্যাংকিং। এই খাতে মোট বিনিয়োগের পরিমাণ ২৮১ কোটি ডলার। খাতটিতে সবচেয়ে বেশি বিনিয়োগকারী দেশ যুক্তরাজ্য। দেশটির বিনিয়োগের পরিমাণ ১৪১ কোটি ডলার।
এছাড়া দেশের বিদ্যুৎ খাতে বিদেশি বিনিয়োগের পরিমাণ ২৪৬ কোটি ডলার। টেলিযোগাযোগ খাতে বিদেশি বিনিয়োগ এসেছে ১৪৩ কোটি ডলার। কেমিক্যাল এবং ফার্মাসিউটিক্যালসে বিদেশি বিনিয়োগ ৪৪ কোটি, আর্থিক প্রতিষ্ঠানে ৪১ কোটি, বীমা খাতে ২৮ কোটি, চামড়া ও চামড়া জাতীয় পণ্যে ৩৭ কোটি, খাদ্যে ৮৯ কোটি, ট্রেডিংয়ে ৬১ কোটি, নির্মাণ খাতে ৩৩ কোটি, পরিবহন ও পরিবহন যন্ত্রপাতিতে ২৪ কোটি, কৃষি ও মৎস্যে ৩১ কোটি, সিমেন্টে ২৭ কোটি এবং অন্যান্য খাতে বিনিয়োগ করেছে ২৫৭ কোটি ডলার।
অর্থসংবাদ/এসএম