শনিবার (৬ মে) দিবাগত রাতে উখিয়ার পালংখালি সফিউল্ল্যাহ কাটা সংলগ্ন এলাকার ইরান মাঝির আস্তানা থেকে আইসসহ তাদের গ্রেপ্তার করে র্যাব।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলো উখিয়ার পালংখালীর মৃত সিরাজুল ইসলামের দুই ছেলে ইমরান প্রকাশ ইরান মাঝি (৩৩) ও মো. রুবেল প্রকাশ রুবেল, উখিয়ার রাজাপালংয়ের মৃত আলী আহাম্মদের ছেলে মো. আলাউদ্দিন (৩৫) (সাবেক বরখাস্তকৃত পুলিশ সদস্য) ও টেকনাফের মৃত আব্দুল করিমের ছেলে জয়নাল আবেদীন প্রকাশ কালা বদা (৩৭)।
রোববার (৭ মে) র্যাব কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র্যাব জানতে পারে উখিয়ার পালংখালি এলাকা দিয়ে বড় একটি মাদকের চালান পাচারের উদ্দেশে ইমরান প্রকাশ ইরান মাঝির আস্তানায় মজুদ রেখেছে। এমন খবরে কক্সবাজার র্যাব-১৫ এর আভিযানিক দল ইরান মাঝির আস্তানায় অভিযান চালায় এবং ইরান মাঝিসহ চার জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তাদের কাছে থাকা বিশেষ কায়দায় লুকায়িত বিপুল পরিমাণ ক্রিস্টাল মেথ (আইস) জব্দ করা হয়। যার পরিমাপ ২৪ কেজি ২০০ গ্রাম।
জব্দ করা আইসের মূল্য আনুমানিক ১২০ কোটি টাকা বলে উল্লেখ করেন এই র্যাব কর্মকর্তা।
তিনি জানান, গ্রেপ্তারদের বিরুদ্ধে উখিয়াসহ বিভিন্ন থানায় মাদক, অস্ত্র, অপহরণ ও হত্যাচেষ্টা সংক্রান্ত সাতটিরও অধিক মামলা রয়েছে। ইতোপূর্বে ইমরান প্রকাশ ইরান মাঝি ও তার ভাই রুবেল ইরান মাঝি বিভিন্ন মামলায় চার বার গ্রেপ্তার হয়ে ভিন্ন ভিন্ন মেয়াদে কারাভোগ করেন।
র্যাবের অভিযানে উদ্ধার হওয়া ক্রিস্টাল মেথ (আইস)। সৌজন্য ছবি
এছাড়া আলাউদ্দিন বাংলাদেশ পুলিশের একজন বহিষ্কৃত সদস্য। তিনি ২০১৭ সালে মাদক বহনের অপরাধে গ্রেপ্তার হন। তার নামে উখিয়াসহ বিভিন্ন থানায় মাদক, দস্যুতা ও মারামারি সংক্রান্তে চারটিরও বেশি মামলা রয়েছে।
গ্রেপ্তার জয়নাল আবেদীনের বিরুদ্ধে টেকনাফসহ বিভিন্ন থানায় মাদক, অস্ত্র, হত্যাচেষ্টা, মারামারি ও সরকারি কাজে বাধা দেওয়াসহ ছয়টির অধিক মামলা রয়েছে। গ্রেপ্তারদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলে জানান তিনি।
এর আগে গত ২৬ এপ্রিল কক্সবাজারের পালংখালী সীমান্ত থেকে ২১ কেজি ৯০ গ্রাম আইসের চালানসহ তিন জনকে আটক করে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। ২২ মার্চ অভিযান চালিয়ে ১২ কেজি আইসের একটি চালান জব্দ করে র্যাব।