পাকিস্তানে প্রথম দফায় গিয়ে চলতি মাসের ২৪, ২৫ ও ২৭ তারিখে লাহোরে তিন ম্যাচ টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলবে বাংলাদেশ। কাল লাহোরে ১৫ সদস্যের দল ঘোষণা করেন পাকিস্তান দলের প্রধান কোচ ও নির্বাচক মিসবাহ-উল-হক। দুই বর্ষীয়ান অলরাউন্ডার মোহাম্মদ হাফিজ এবং শোয়েব মালিককে জাতীয় দলে ফিরিয়েছেন। রমিজ মূলত এ দুজনকে দলে ফেরানোর সমালোচনা করেছেন। তাঁর যুক্তি, নির্বাচকেরা ভবিষ্যতে না তাকাননি এবং আর কোনো হার দেখতে চাচ্ছেন না। সে কারণেই ৩৯ বছর বয়সী হাফিজ এবং ৩৭ বছর বয়সী মালিককে দলে ফিরিয়েছেন। যেহেতু তাঁরা অভিজ্ঞ ক্রিকেটার।
রমিজ বিষয়টি মেনে নিতে পারছেন না। ক্রোধ প্রকাশ করেছেন ইউটিউবে, ‘বাংলাদেশ সিরিজে পাকিস্তানের টি-টোয়েন্টি দলটা দেখার পর থেকেই রাগ লাগছে। ভবিষ্যতে তাকিয়ে দল নির্বাচন করা হয়নি। নির্বাচকেরা বুঝিয়ে দিয়েছেন তারা আর হার দেখতে চান না। এ কারণে তারা শোয়েব মালিক ও মোহাম্মদ হাফিজকে দলে ফিরিয়েছেন, যারা নিজের সেরা সময়টা ফেলে এসেছে। হারের ভয়ে দূরদর্শী ভাবনা বাদ দিয়ে স্বার্থপরের মতো চিন্তা করলে পাকিস্তান ক্রিকেট কত দূর যেতে পারবে?’
টি-টোয়েন্টি র্যাঙ্কিংয়ে শীর্ষস্থানীয় দল হলেও সাম্প্রতিককালে পাকিস্তানের পারফরম্যান্স খুব একটা ভালো নয়। গত বছর ১০ ম্যাচ খেলে ৮টিতেই হেরেছে, জিতেছি একটি। ৫৭ বছর বয়সী রমিজ মনে করেন ঘরের মাঠে টি-টোয়েন্টিতে সব সময় তরুণদের সুযোগ দেওয়া উচিত। নিজের অবস্থানের পক্ষে আরও বলেন, ‘নির্বাচকদের যুক্তি ৩৮ বছর বয়সী দুই ক্রিকেটার অভিজ্ঞতা থেকে ম্যাচ জেতাবেন। তাহলে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে কঠিন সিরিজে তরুণদের বদলে তাদের সুযোগ দেওয়া উচিত ছিল। বাংলাদেশের বিপক্ষে তারা হারের ভয় করছে বলেই নিরাপদ পথ বেছে নিয়েছে। মালিক কিংবা হাফিজের বিপক্ষে আমার ব্যক্তিগত কোনো ক্ষোভ নেই। পাকিস্তানের জন্য তাদের অনেক অবদান রয়েছে। কিন্তু তাদের বয়সটা এমন যে বেশি কিছু দিতে পারবে না।’
এদিকে বাংলাদেশের বিপক্ষে বোলিং করতে পারবেন না হাফিজ। এর আগে ইংল্যান্ডে অবৈধ বোলিং অ্যাকশনের জন্য নিষিদ্ধ হয়েছেন। লাহোরে বায়োমেকানিকস পরীক্ষায় উতরে যেতে পারলে বল করার সুযোগ পাবেন। সংবাদমাধ্যমকে হাফিজ বলেছেন, ‘আইসিসি যখন যেখানে চাইবে সেখানে বোলিং অ্যাকশনের পরীক্ষা দিতে প্রস্তুত আছি। বাংলাদেশের বিপক্ষে আমি বল করতে পারব না।’