সুদানের সেনাবাহিনী ও আধাসামরিক বাহিনী র্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেসের (আরএসএফ) সদস্যদের মধ্যে গত ১৫ এপ্রিল থেকে সংঘর্ষ চলছে। গত এক মাসে এ সংঘর্ষ ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। এ পর্যন্ত চার শতাধিক মানুষ নিহত হয়েছেন।
সেহেলী সাবরীন বলেন, সুদানে অবস্থানরত বাংলাদেশিদের ফিরিয়ে আনতে প্রক্রিয়া শুরু করেছে বাংলাদেশ সরকার। এরই মধ্যে ৭২১ বাংলাদেশিকে সরকারি খরচে সুদান ফিরিয়ে আনা হয়েছে। উত্তর আফ্রিকার দেশটিতে এক হাজার ৫০০ বাংলাদেশি রয়েছেন। এদের মধ্যে প্রাথমিক পর্যায়ে ৮০০ বাংলাদেশি দেশে ফিরে আসার ইচ্ছা প্রকাশ করেন।
তিনি বলেন, সৌদি আরবের জেদ্দায় বাংলাদেশের কনস্যুলেট জেনারেল থেকে একজন কনস্যুলারকে সুদানে বাংলাদেশের দূতাবাসকে সহায়তা করতে বন্দরসুদানে গিয়ে বাংলাদেশের প্রত্যাবাসনে নিরলসভাবে কাজ করেন। ৭২১ বাংলাদেশির নিরাপদ প্রত্যাবাসন শেষে তিনি জেদ্দায় ফেরেন। খার্তুম থেকে সুদানে বাংলাদেশি দূতাবাসের ভাড়া করা ১৩টি বাসযোগে সর্বপ্রথম ৬৫০ বাংলাদেশি গত ২ মে বন্দরসুদানে পৌঁছান।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এ মুখপাত্র আরও বলেন, প্রথমে সৌদি নৌবাহিনীর জাহাজে তাদের জেদ্দায় পাঠাতে চেষ্টা করেন সেখানকার বাংলাদেশি রাষ্ট্রদূত। কিন্তু সেখানে সৌদি নৌবাহিনীর পর্যাপ্ত জাহাজ ছিল না। পরে ১৩৫ বাংলাদেশিকে সৌদি বিমানবাহিনীর তিনটি সামরিক বিমানে ৪৫ জন করে জেদ্দায় পাঠিয়ে দেওয়া হয়। ওই ১৩৫ জনের সঙ্গে আরও একজনকে যুক্ত করে ১৩৬ বাংলাদেশিকে বাংলাদেশ বিমানের নিয়মিত ফ্লাইটে বাংলাদেশে নিয়ে আসা হয়।
এরপর ২৩৯ সুদানপ্রবাসীসহ বাংলাদেশ বিমানের ফ্লাইট গত ১২ মে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে। সুদানে অবস্থিত বাকি বাংলাদেশিদের বদর এয়ারলাইন্সে সরকারি খরচে জেদ্দায় নিয়ে আসা হচ্ছে। এরপর দ্রুতই তাদের ঢাকায় ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করা হচ্ছে, যোগ করেন সেহেলী সাবরীন।