শনিবার (২০ মে ) দুপুরে টেকনাফ পৌরসভার কায়ুখখালী ঘাট থেকে মাছটি ক্রয় করেন আলী আহাম্মদ নামে এক পাইকারি মাছ ব্যবসায়ী।
স্থানীয়রা জানান, বঙ্গোপসাগরে মোহাম্মদ আয়ুব মাঝির জালে বিশাল আকৃতির বাঘা শাপলাপাতা মাছ ধরা পড়ে। যার ওজন ৩ মণ ২ কেজি। এ ধরনের বড় মাছ মাঝে মধ্যে জেলেদের জালে আটকা পড়ে।
পৌরসভার কুলালপাড়ার ট্রলার মালিক মোহাম্মদ আলম বলেন, বৃহস্পতিবার দুপুরে ছয়জন মাঝিমাল্লা নিয়ে ট্রলারটি সাগরে মাছ ধরতে যান। শুক্রবার বিকেলে জেলেরা সাগরে জাল ফেলেন। দুই ঘণ্টা পর জাল টানা শুরু করলে ভেসে ওঠে বিশাল আকারের একটি শাপলাপাতা মাছ। এরপর অন্যান্য জেলেদের সহযোগিতায় মাছটি ট্রলারে ওঠানো হয়। শনিবার দুপুর ১২টার দিকে মাছটি ঘাটে এনে টেকনাফের মাছ ব্যবসায়ী আলী আহাম্মদের কাছে ৩৬ হাজার টাকায় বিক্রি করা হয়।
মাছ ক্রেতা আলী আহাম্মদ বলেন, ৩ মণ ২ কেজি ওজনের মাছটি আমি ৩৬ হাজার টাকায় কিনেছি। মাছটি বেশি দামে বিক্রি জন্য চট্টগ্রাম আড়তদারের কাছে পাঠানো হবে।
টেকনাফ সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা দেলোয়ার হোসেন বলেন, এ মাছের ইংরেজি নাম ল্যাপার্ড স্টিংরে। এ প্রজাতির মাছ সমুদ্রের অগভীরে তলদেশ ঘেঁষে বিচরণ করে। তবে বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ আইনে শাপলাপাতা মাছ ধরা ক্রয়-বিক্রয় নিষিদ্ধ। জেলেদের বিভিন্ন সভা-সেমিনারে এসব শাপলাপাতা ধরতে নিষেধ করা হয়।