চুক্তির ফলে কর ফাকি দেওয়ার লক্ষ্যে যেসন প্রতিষ্ঠান একাধিক বিবরণী তৈরি করে তাদেরকে চিহ্নিত করা যাবে।
আইসিএবির এক প্রেস বিজ্ঞপ্তি থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সম্প্রতি আইসিএবি লক্ষ্য করেছে যে কিছু ব্যক্তি হিসাববিদদের নাম খাটিয়ে আর্থিক বিবরণী স্বাক্ষর করে নিয়ন্ত্রক সংস্থা সমূহের কাছে ভুল তথ্য প্রদান করছে।
গত মঙ্গলবার (৮ সেপ্টেম্বর ২০২০) এনবিআর সম্মেলন কক্ষে ডকুমেন্ট ভেরিফিকেশন সিস্টেম এর সম্পর্কে আইসিএবি একটি উপস্থাপনা তুরে ধরে। এসময় এনবিআর চেয়াম্যান আবু হেনা মো. রাহমাতুর মুনিম, এনবিআর সদস্যগণ, উর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ, আইসিএবির প্রেসিডেন্ট মুহাম্মদ ফারুক এফসিএ, ভাইস প্রেসিডেন্ট সাব্বির আহমেদ এফসিএ, মোহাম্মদ ফোরকান উদ্দীন এফসিএ এবং পর্ষদ সদস্যবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
এনবিআর চেয়াম্যান বলেন, নিরীক্ষিত আর্থিক বিবরণী নির্ভরযোগ্য করে তুলতে ডিভিএস বেশ সাহায্যকারী হবে। তবে এটি কে বিজনেস ডাটাবেজ করা যেতে পারলে জাতীয় সম্পদে পরিনত হবে। যাতে বিভিন্ন তথ্য রেগুলেটররা যাচাই বাছাই করে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে। তিনি ডিভিএস কার্যকর করতে বিভিন্ন আইনগত দিক পর্যালোচনার জন্য আইসিএবিকে আহ্বান জানান।
আইসিএবি’র প্রেসিডেন্ট মুহাম্মদ ফারুক এফসিএ বলেন, আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলির ডাটা নিরপত্তা ও গোপনীয়তা বিবেচনায় রেখে এই ডিভিএস উদ্ভাবন করা হয়েছে। নিরীক্ষা কাজে নিয়োজিত প্রত্যেক সদস্যকে ডিভিএস ব্যবহার বাধ্যতামূলক করা হবে। প্রবিশন রাখা হচ্ছে যারা এর ব্যত্যয় ঘটাবে তাদেরকে শাস্তির আওতায় নিয়ে আসা হবে। এই ডিভিএস এ নিবন্ধীত না হলে কোন নিরীক্ষিত আর্থিক বিবরণী রেগুলেটরদের কাছে গ্রহণযোগ্য হবে না বলে তিনি মন্তব্য করেন।
অনুষ্ঠানে আইসিএবি’র ভাইস প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ ফোরকান উদ্দীন এফসিএ অনিয়ম দূর করার ক্ষেত্রে ডিভিএস এর গুরুত্ব তুলে ধরেন।
তিনি বলেন আর্থিক খাতে অনিয়ম দূর করতে আইসিএবি ও এনবিআর একযোগে কাজ করছে। একটি সুন্দর বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে আইসিএবি এই ডিভিএস চালু করতে যাচ্ছে। এতে করে এনবিআর ও অন্যান্য রেগুলেটররা নিরীক্ষিত আর্থিক বিবরণীর গ্রহণযোগ্যতা যাচাই বাছাই করতে পারবে।