বৃহস্পতিবার (১০ সেপ্টেম্বর) সচিবালয়ে নিজ দফতরে হাঙ্গেরির পররাষ্ট্রমন্ত্রীর নেতৃত্বে তিন সদস্যের প্রতিনিধি দলের বৈঠক শেষে এসব কথা জানান বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমার সঙ্গে আজ হাঙ্গেরির পররাষ্ট্রমন্ত্রী এবং একজন প্রতিনিধি এসেছিলেন দেখা করতে, ব্যবসা সম্পর্কে কথা বলতে। ১৯৭২ সালের জানুয়ারিতে বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দেয়ার ক্ষেত্রে হাঙ্গেরি অন্যতম। তারই ধারাবাহিকতায় আমাদের একটি চুক্তিও হয়েছিল। এখন তারা এসেছে ব্যবসা-বাণিজ্য করা যায় কি-না (সে বিষয়ে কথা বলতে)।’
তিনি বলেন, ‘তাদের খুব ভালো প্রপোজাল আছে। ফুড প্রসেসিং ইন্ডাস্ট্রি এবং ওয়াটার ম্যানেজমেন্টের বিষয়ে তাদের এক্সপার্টিজ রয়েছে। দুটো ব্যাপারেই তারা উৎসুক। বাংলাদেশে তারা বিনিয়োগ করতে চায়। আমরাও বলেছি, এ দুটো ক্ষেত্রে আমাদের প্রসপেক্ট আছে। বিশেষ করে আমাদের কৃষিভিত্তিক জোন এলাকা রয়েছে।’
‘মূল যেটা আলোচনা হয়েছে দুটো দেশ একটি জয়েন্ট ট্রেড কমিশন করবে। সেই ট্রেড কমিশনে বসে এসব বিষয়ে আলোচনা হবে। তাদের আমরা কী সুবিধা দিতে পারি, তারা আমাদের সঙ্গে কীভাবে কাজ করতে পারে, সেসব বিষয় নিয়ে আমাদের আলোচনা হয়েছে।’
‘হাঙ্গেরির সঙ্গে বাণিজ্যিক লেনদেনে আমরা এক্সপোর্ট করেছি ১৫০ মিলিয়ন। তারা পাঠায় ১০ মিলিয়ন। তবে এ বছর কিছুটা বেশি হয়েছে। কিন্তু সামনে কিছু স্কোপ রয়েছে আমাদের জন্য। যেহেতু তাদের অনেক নদী আছে তাই তাদের ওয়াটার ম্যানেজমেন্টও ভালো’, যোগ করেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি।
তিনি বলেন, ‘তৃতীয় একটি সেক্টর তারা মেনশন করেছে, তা হলো ফার্মাসিটিক্যাল। আমরা বলেছি, ট্রেড কমিশনে আমরা ফর্মালি আলোচনা করব। তারা খুব সিরিয়াস। তারা বলেছে, আগামী সপ্তাহের মধ্যে তারা একটি জয়েন্ট ট্রেডের বিষয়ে আইডিয়া প্রপোজাল পাঠাবে। আমরাও বলেছি, তারা প্রপোজাল পাঠানোর এক সপ্তাহের মধ্যে আমরাও সিদ্ধান্ত নেব।’