আর গত বুধবার থেকে পরিকল্পনায় থাকা বাকিদের ছাঁটাইপ্রক্রিয়া শুরু করেছে প্রতিষ্ঠানটি। বিষয়টির সঙ্গে পরিচিত একটি সূত্রের বরাত দিয়ে এ খবর জানিয়েছে দ্য গার্ডিয়ান।
মেটার মার্কেটিং, রিক্রুটিং, ইঞ্জিনিয়ারিং ও করপোরেট কমিউনিকেশন বিভাগে কর্মরত বেশ কিছু কর্মী গত বুধবার পেশাজীবীদের যোগাযোগমাধ্যম লিংকডইনে তাঁদের ছাঁটাইয়ের খবর জানান। এরপরই বিষয়টি জানাজানি হয়।
মেটা গত বুধবার জানিয়েছে, আয়ারল্যান্ডের ডাবলিনে অবস্থিত প্রতিষ্ঠানটির আন্তর্জাতিক সদর দপ্তরের প্রায় ২০ শতাংশ বা ৪৯০ জন কর্মী ছাঁটাইপ্রক্রিয়ার মধ্যে পড়তে পারেন। আর গার্ডিয়ান জানিয়েছে, বিশেষ করে নন-ইঞ্জিনিয়ারিং খাত যেমন, কনটেন্ট ডিজাইন ও ইউজার এক্সপেরিয়েন্স গবেষকের মতো পদগুলো থেকে বেশি ছাঁটাইয়ের ঘটনা ঘটছে।
উচ্চ মূল্যস্ফীতি ও ডিজিটাল বিজ্ঞাপন কমার কারণে গত বছরের শেষের দিক থেকে প্রযুক্তি খাতের কোম্পানিগুলো ব্যাপক অর্থনৈতিক চাপের মুখে পড়ে। যেমন, মেটা ২০২২ সালে ১ হাজার ৩৭০ কোটি মার্কিন ডলার মুনাফা হারিয়েছে। কোম্পানির আয় কমে যাওয়ায় পরিচালনা খরচ কমাতে ছাঁটাইয়ের চিন্তা শুরু করে তারা। গত বছরের নভেম্বরে প্রথম কোনো বড় প্রযুক্তি কোম্পানি হিসেবে ১১ হাজার কর্মী ছাঁটাইয়ের ঘোষণা দেয় ফেসবুকের মূল প্রতিষ্ঠান মেটা।
এরপর চলতি বছরের মার্চ মাসে দ্বিতীয় দফায় আরও ১০ হাজার কর্মী ছাঁটাইয়ের ঘোষণা দেন মেটার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মার্ক জাকারবার্গ। মার্চের ছাঁটাইয়ের ঘোষণাটি দুই ভাগে বাস্তবায়িত হয়। প্রথমে এপ্রিল মাসে ৪ হাজার কর্মীকে চাকরিচ্যুত করা হয়। আর গত বুধবার থেকে বাকিদের ছাঁটাইপ্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। যদিও এরপরও ছোট পরিসরে কিছু ছাঁটাইপ্রক্রিয়া চলতে পারে বলে আভাস দিয়ে রেখেছেন মার্ক জাকারবার্গ।
২০২০ সাল থেকে কয়েক ধাপে ব্যাপক নিয়োগের মাধ্যমে নিজেদের কর্মী সংখ্যা দ্বিগুণ করেছিল মেটা। তবে সর্বশেষ ছাঁটাইয়ের পরে কর্মী সংখ্যা আবার কমে ২০২১ সালের মাঝামাঝি সময়ের অবস্থানে নেমে এসেছে।
অবশ্য এভাবে কর্মী ছাঁটাইয়ের মাধ্যমে খরচ কমানোর উদ্যোগ নেওয়ায় এবং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ওপর জোর দেওয়ায় কিছুটা ইতিবাচক ফল পেয়েছে মেটা। সম্প্রতি মার্কিন শেয়ারবাজারে মেটার শেয়ারের দাম দশমিক ৫ শতাংশ বেড়েছে। পাশাপাশি এসঅ্যান্ডপি ৫০০ সূচকেও শীর্ষস্থানীয় কোম্পানিগুলোর মধ্যে রয়েছে মেটা।