এর আগে গত ১৯ মে মাসেদুল হক রাশেদ এর ছোট ভাই, কক্সবাজার সদর উপজেলা চেয়ারম্যান জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির সদস্য সচিব কাইছারুল হক জুয়েল কে কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক লীগের দপ্তর সম্পাদক আজিজুল হক আজিজ স্বাক্ষরিত পত্রে বহিষ্কার করা হয়। বহিষ্কার পত্রে বলা হয়েছে দলীয় শৃংখলা ভঙ্গ করে আওয়ামী লীগ মনোনীত মেয়র প্রার্থী মাহবুবুর রহমান চৌধুরী মাবুর বিরুদ্ধে ভাইয়ের পক্ষে প্রচারাভিযানে নামায় কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি গাজী মেজবাউল হোসেন সাচ্চু ও সাধারণ সম্পাদক আফজালুর বাবুর নির্দেশনায় বহিষ্কার পত্র পাঠানো হয়।অবশ্য কাইছারুল হক জুয়েল বহিষ্কারাদেশের প্রতিক্রিয়ায় গনমাধ্যমকে জানান,বহিষ্কারাদেশের পূর্বেই তিনি পদত্যাগ করেন।
তাহমিনা চৌধুরী যুব মহিলা লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক বরাবর পদত্যাগপত্র দিয়েছেন। এতে তিনি লিখেছেন, পারিবারিক ও ব্যক্তিগত কারণে কক্সবাজার যুব মহিলা লীগের সভাপতির পদ থেকে তিনি অব্যাহতি চাইছেন। এরপর নিজের ফেসবুক পেজে দেওয়া এক স্ট্যাটাসে তাহমিনা বলেন, ‘আমি আমার বাবার রক্তের কাছে দায়বদ্ধ।’
এ বিষয়ে তাহমিনার ঘনিষ্ঠজনেরা জানিয়েছেন, তিনি বড় ভাই মাসেদুল হকের পক্ষে নির্বাচনী প্রচারণায় মাঠে নেমেছেন। নারী ভোটারদের সংগঠিত করছেন। ভাইয়ের জন্যই দলের পদ ছেড়েছেন তিনি বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় মাসেদুল হককে আওয়ামী লীগ থেকে বহিষ্কার করা হয়।
এদিকে মাসুদুলহক রাশেদের মেজো ভাই শহীদুল হক সোহেল জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক ও তার ছোট ভাই শাহীনুলহক মার্শাল জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান। তিনি ও দলীয় আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী সাবেক সাংসদ ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মোশতাক আহমেদ চৌধুরীকে পরাজিত করে বিদ্রোহী প্রার্থী হিসাবে জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন
মাসেদুল হক জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক। দলীয় মনোনয়ন না পেয়ে তিনি নাগরিক কমিটির প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা দিয়ে মাঠে নামেন। মাসেদুলের প্রতীক নারিকেলগাছ।
জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ফরিদুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, সংগঠনের শৃঙ্খলা ভঙ্গ এবং দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে মাসেদুল হক মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। কেন্দ্রের সিদ্ধান্তে তাঁকে জেলা আওয়ামী লীগের সদস্যপদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। আওয়ামী লীগ মনোনীত মেয়র প্রার্থী মাহবুবুর রহমান চৌধুরীর বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগ এবং অঙ্গসংগঠনগুলোর যেকোনো পর্যায়ের নেতা-কর্মী অবস্থান নিলে তাঁদেরও দল থেকে তাৎক্ষণিকভাবে বহিষ্কার করা হবে।