অর্থনৈতিক সূচকে ব্যাপক উন্নয়ন করেছে বাংলাদেশ

অর্থনৈতিক সূচকে ব্যাপক উন্নয়ন করেছে বাংলাদেশ
সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বাংলাদেশ অর্থনৈতিক বিভিন্ন সূচকে ব্যাপক উন্নয়ন করেছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান বলেছেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান দেশ স্বাধীন হওয়ার পরপরই কমনওয়েলথ সদস্যদের পারস্পরিক সহযোগিতার স্বপ্ন নিয়ে কমনওয়েলথে যোগ দেন। মুক্তিযুদ্ধের পর স্বাধীনতাপ্রাপ্ত বাংলাদেশ যখন কমনওয়েলথে যোগদান করে, তখন দেশটি যুদ্ধবিধ্বস্ত অর্থনীতি এবং বিধ্বস্ত অবকাঠামো নিয়ে ঘুরে দাঁড়ানোর লড়াই করছিল। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার যোগ্য নেতৃত্বে বাংলাদেশ ২০২৬ সালে মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত হচ্ছে। জাতির কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমে এ অর্জন সম্ভব হয়েছে। পাশাপাশি ছিল কমনওয়েলথ সদস্যদের মতো উন্নয়ন অংশীদারদের সমর্থন। বাংলাদেশের সবচেয় বড় বাণিজ্য অংশীদারদের মধ্যে রয়েছে কমনওয়েলথভুক্ত বেশ কয়েকটি দেশ।

রবিবার (১১ জুন) রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। আগামী ১৩ ও ১৪ সেপ্টেস্বর ঢাকায় প্রথমবারের মতো অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে ‘কমনওয়েলথ ট্রেড অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট ফোরাম’। এ উপলক্ষ্যে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে কমনওয়েলথ এন্টারপ্রাইজ অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট কাউন্সিল (সিডব্লিউইআইসি)।

পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম, যুক্তরাজ্যের হাউজ অব লর্ডসের সদস্য ও সিডব্লিউইআইসি-এর ডেপুটি চেয়ারম্যান লর্ড সোয়ার কেসিএমজি ও বাংলাদেশে সিডব্লিউইআইসি-এর কৌশলগত উপদেষ্টা জিল্লুর হোসেন সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন।

সংবাদ সম্মেলনে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বলেন, কমনওয়েলথকে অবশ্যই এলডিসি, এলএলডিসি, এসআইডিএস এবং বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন দেশগুলোর চ্যলেঞ্জ ও ঝুঁকিসমূহ মোকাবিলায় সহায়ক ভূমিকা পালন করতে হবে। এলডিসি উত্তরণ-পরবর্তীসময়ে জিএসপি সম্পর্কিত বাণিজ্যিক সুবিধার ধারাবাহিকতা বজায় রাখা, বেসরকারি পুঁজির প্রবাহ এবং সবুজ প্রযুক্তি ব্যবহারের ক্ষেত্রে সহজ অর্থায়নের মতো ক্ষেত্রগুলোতে গুরুত্বারোপ করতে হবে।

লর্ড সোয়ার কেসিএমজি বলেন, বাংলাদেশি কোম্পানিগুলোর জন্য কমনওয়েলথ ৫৬টি দেশের মধ্যে অপার সম্ভাবনা অন্বেষণ ও তা কাজে লাগানের একটি বিশাল সুযোগ তৈরি করেছে।

জিল্লুর হোসেন বলেন, কমনওয়েলথ সদস্যদের রাষ্ট্রপ্রধান, রাজনৈতিক ও ব্যবসায়ী নেতারা এ বছর ঢাকায় কমনওয়েলথ ট্রেড অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট ফোরামে যোগ দেবেন। বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি সম্পর্কিত বিষয়সমূহ তুলে ধরার জন্য এটি একটি অনন্য প্ল্যাটফর্ম হবে। এ ফোরমের লক্ষ্য হলো অংশীদারত্ব বৃদ্ধি ও মজবুত করা, উদ্ভাবনকে উৎসাহিত করা এবং বাংলাদেশের জন্য টেকসই ও অন্তর্ভুক্তিমূলক অর্থনেতিক উন্নয়নের পথ অন্বেষণ করা।

এর আগে ফোরামটি কমনওয়েলথের আন্যান্য সদস্য রাষ্ট্র; যেমন- যুক্তরাজ্য, সিঙ্গাপর, কেনিয়া, রুয়ান্ডা, মাল্টায় অনুষ্ঠিত হয়েছিল। কমনওয়েলথ হলো ৫৬ দেশ নিয়ে গঠিত একটি আন্তর্জাতিক সংস্থা, যা অভিন্ন মূল্যবোধ দ্বারা একত্রিত। বিশ্বের জনসংখ্যার এক-তৃতীয়াংশ কমনওয়েলথের আওতাভুক্ত দেশগুলোয় বাস করে। ১৯৭২ সালে বাংলাদেশ কমনওয়েলথের ৩৪তম সদস্য হিসেবে যোগদান করে।


আর্কাইভ থেকে

আরও পড়ুন

নতুন সুদহার নির্ধারণ করল বাংলাদেশ ব্যাংক
ব্যাগেজ রুলের অপব্যবহারে ধ্বংস হচ্ছে জুয়েলারি শিল্প
বছর ঘুরলেও প্রবাসী আয়ে গতি ফিরেনি
বাংলাদেশি টাকায় আজকের মুদ্রা বিনিময় হার
গ্রাহক সংখ্যায় দেশসেরা প্রতিষ্ঠান নগদ
বছরজুড়ে আলোচনায় খেলাপি ঋণ, সুদহার ও বিনিময়হার
প্রথম দিনেই ২ লাখের বেশি পণ্যের অর্ডার পেলো ইভ্যালি
তিন মাসের মধ্যে সব দেনা পরিশোধ শুরু করবো
পোশাকশিল্পকে রাজনৈতিক হাতিয়ার না বানানোর অনুরোধ
এক মাসের ব্যবধানে আলুর দাম বেড়েছে ৪৪ শতাংশ