চাকরি পাওয়ার পর সামাজিক মাধ্যম লিঙ্কডইনে কাইরান লিখেছে, ‘পৃথিবীর সেরা কোম্পানিতে আমি প্রকৌশলী হিসেবে যোগ দিতে যাচ্ছি; কোম্পানির স্টারলিংক প্রকৌশলী দলে যোগ দিচ্ছি আমি। এরা বিশ্বের সেই বিরল কোম্পানিগুলোর একটি, যারা বয়সের মতো পুরোনো মানদণ্ড দিয়ে সক্ষমতা ও পরিপক্বতা বিবেচনা করেনি।’
যুক্তরাষ্ট্রের সান্তা ক্লারা ইউনিভার্সিটির স্কুল অব ইঞ্জিনিয়ারিং থেকে পাস করার কিছুদিন আগেই কাজী এ চাকরি পেয়ে গেছে। সবচেয়ে কম বয়সী হিসেবে সে এই ডিগ্রি নিয়েছে। এখন সে ক্যালিফোর্নিয়া থেকে মাকে নিয়ে ওয়াশিংটন রাজ্যে চলে আসার পরিকল্পনা করছে, যেখানে তাকে কাজ করতে হবে।
দুই বছর বয়স থেকেই প্রতিভার ঝলক দেখিয়ে আসছে কাজী। সেই বয়সেই সে পূর্ণাঙ্গ বাক্যে কথা বলতে পারত। কিন্ডারগার্টেন স্কুলে ভর্তি হওয়ার পর সে রেডিওতে শোনা গল্প বন্ধুদের কাছে বলত।
তৃতীয় শ্রেণিতে পড়ার সময় তার যখন মনে হয় স্কুলের পড়াশোনা অতটা চ্যালেঞ্জিং নয়, তখন তার মা-বাবা ক্যালিফোর্নিয়ার এক কমিউনিটি কলেজে তাকে ভর্তি করে দেন। তখন তার মনে হয়, সেই বয়সে যা শেখা দরকার, সে তখন তাই শিখতে পারছে। এরপর ১১ বছর বয়সে সে সান্তা ক্লারা বিশ্ববিদ্যালয়ে কম্পিউটার সায়েন্স ও ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে ভর্তি হয়।
কাইরান কাজীর লিঙ্কডইন প্রোফাইলের তথ্যানুসারে, গত বছর সে ব্ল্যাকবার্ড ডট এআই নামের এক সাইবার ইন্টেলিজেন্স ফার্মে চার মাস মেশিন লার্নিংয়ের ইন্টার্ন হিসেবে কাজ করে। সেখানে সে সামাজিক মাধ্যমের আধেয় ভিন্ন উদ্দেশ্যে ব্যবহার করা হচ্ছে কি না, তা শনাক্তের পরিসংখ্যানগত পদ্ধতি তৈরি করে।
কাজী বলেন, ‘অনেকে মনে করে, আমি শৈশব থেকে বঞ্চিত হচ্ছি; কিন্তু আমার মনে হয় না বিষয়টি ঠিক। সেই মনোভাব থাকলে আমি এত দিনে মাধ্যমিক স্কুলে থাকতাম।’
যে স্টারলিংক দলে কাইরান কাজী কাজ করবে, সেটি মূলত স্পেসএক্সের স্যাটেলাইট ইন্টারনেট পরিষেবা দানকারী প্রতিষ্ঠান।