এক বছরের কম সময় আগে কানাডার কোম্পানি ফিউরা জেমস মোজাম্বিকে নিজেদের একটি খনিতে আবিষ্কার করে রুবিটি। বিক্রির আগে রত্নটিকে এখন পর্যন্ত বাজারে আসা ‘অত্যন্ত বিরল’ এবং ‘সবচেয়ে মূল্যবান ও গুরুত্বপূর্ণ’ রুবি হিসেবে বর্ণনা করেছে সোথবি’স। মোজাম্বিকের সরকারী ভাষা পর্তুগিজ। এ ভাষায় রুবিটির নামকরণ হয়েছে ইসত্রেলা ডি ফিউরা বা স্টার অব ফিউরা।
গত বছরের জুলাইয়ে খনি থেকে ইসত্রেলা ডি ফিউরা রুবিটি উত্তোলন করার সময় এর ওজন ছিল ১০১ ক্যারেট। পরে কেটে ও পলিশ করার পর এর ওজন দাঁড়ায় ৫৫ ক্যারেট। এটি এখন পর্যন্ত আবিষ্কৃত সবচেয়ে বড় রত্ন-মানের রুবি। রুবিটির অভ্যন্তরীণ প্রতিফলনের কারণে এটি প্রাণবন্ত লাল রঙে পরিণত হয়েছে।
সাধারণত রেকর্ড দামে রত্নপাথর বিক্রিতে হীরার দাপটই বেশি থাকে, বিশেষ করে রঙিন হীরা হলে। তবে রুবিকেও বিশ্বের বিরল ও সবচেয়ে মূল্যবান রত্নপাথর হিসেবে বিবেচনা করা হয়ে থাকে।
সোথবি’সের তথ্য অনুযায়ী, এর আগে সবচেয়ে দামি রুবিটির নাম ছিল সানরাইজ রুবি। ২৫ দশমিক ৫৯ ক্যারেটের ওই রুবি মিয়ানমারে আবিষ্কার করা হয়। ২০১৫ সালের সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় ৩ কোটি ৩০ লাখ মার্কিন ডলারে বিক্রি হয় সেটি।