পুঁজিবাজারের চলমান সংকট নিরসনে এবং বর্তমান বাজার পরিস্থিতি নিয়ে আজ রবিবার (১৯ জানুয়ারি) অর্থমন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ ব্যাংক ও বাংলাদেশ মার্চেন্ট ব্যাংকার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমবিএ) মধ্যে অনুষ্ঠিত বৈঠকে এ কথা জানিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। বৈঠকে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর, অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সিনিয়র সচিব আসাদুল ইসলাম এবং বিএমবিএ এর সভাপতি ছায়েদুর রহমান ও সাধারন সম্পাদক রিয়াদ মতিনসহ সংশ্লিষ্ট ব্যাক্তিবর্গরা উপস্থিত ছিলেন। সংশ্লিষ্ট সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
এর আগে, গত ৪ ডিসেম্বর বাজার মধ্যস্থতাকারী প্রতিষ্ঠানের একটি প্রতিনিধি দল অর্থ মন্ত্রণালয়ের কাছে পূঁজিবাজারের তারল্য সংকট কাটাতে ১০ হাজার কোটি টাকা দেওয়ার জন্য লিখিত প্রস্তাব দেয়। সেখানে ৬ বছরের জন্য ১০ হাজার কোটি টাকা চেয়ে প্রস্তাব করা হয়েছে। যা পূঁজিবাজারের সকল মধ্যস্থতাকারী প্রতিষ্ঠানের মধ্যে বিতরন করা হবে। এই টাকার বিপরীতে ২য় বছর থেকে ৩ শতাংশ হারে সুদ দেওয়ার প্রস্তাব করা হয়েছে। আর চতুর্থ বছর থেকে আসলসহ সুদ প্রদানের প্রস্তাব করা হয়েছে। এক্ষেত্রে প্রথম বছর সুদ চার্জ না করার আহবান করা হয়। ১০ হাজার কোটি টাকা শুধুমাত্র পূঁজিবাজারের জন্যই ব্যবহার করা হবে বলেও লিখিত প্রস্তাবে উল্লেখ করা হয় যা একটি বিশেষ অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে পরিচালনা করা হবে। একইসঙ্গে ওই টাকার ব্যবহার নিয়ে নিয়মিত মনিটরিং করা হবে বলে জানানো হয়। এই প্রস্তাবের বিষয়ে অর্থমন্ত্রণালয় মতামত চেয়ে বাংলাদেশ ব্যাংককে গত মাসে চিঠি দেয়।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সঙ্গে অর্থমন্ত্রণালয় এবং বিএমবিএ'র বৈঠকে পূঁজিবাজার উন্নয়নে আন্তরিক বলেও জানান বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর।
সেই ধারাবাহিকতায় আজ বাংলাদেশ ব্যাংকের সঙ্গে অর্থ মন্ত্রনালয় ও বিএমবিএ’র বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর জানিয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংক শেয়ারবাজারের উন্নয়নে আন্তরিক। যত দ্রুত সম্ভব অর্থ মন্ত্রণালয়ের কাছে ১০ হাজার কোটি টাকার প্রস্তাবনার বিষয়ে মন্ত্রণালয় যেসব তথ্য জানতে চেয়ে তার ইতিবাচক তথ্য প্রদান করা হবে।