দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় সংবাদপত্র প্রথম আলো সম্পাদক মতিউর রহমান এবং কিশোর আলো সম্পাদক আনিসুল হকের জামিন শুনানি সোমবার। এ সময়ে তাদের হয়রানি না করার নির্দেশ দেয় আদালত।
ঢাকা রেসিডেনসিয়াল মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজের ছাত্র নাঈমুল আবরার রাহাতের মৃত্যুর ঘটনায় করা মামলায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানাভুক্ত প্রথম আলো সম্পাদক মতিউর রহমানসহ ছয়জনের জামিন আবেদনের ওপর শুনানির জন্য সোমবার দিন ধার্য করে আদালত।
ওই সময় পর্যন্ত তাদের গ্রেপ্তার ও কোনো ধরনের হয়রানি না করার আবেদনে প্রাথমিক শুনানি করে বিচারপতি ওবায়দুল হাসান ও বিচারপতি এ কে এম জহিরুল হকের হাই কোর্ট বেঞ্চে রোববার এ আদেশ দেয়।
তাদের পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার আমীর-উল ইসলাম।
আবেদনকারী অন্যরা হলে পত্রিকাটির সহযোগী সম্পাদক আনিসুল হক, কিশোর আলোর জ্যেষ্ঠ সহসম্পাদক মহিতুল আলম, প্রথম আলোর হেড অব ইভেন্ট অ্যান্ড অ্যাকটিভেশন কবির বকুল, নির্বাহী শাহ পরাণ তুষার ও নির্বাহী শুভাশীষ প্রামাণিক।
আবরারের অবহেলাজনিত মৃত্যুর অভিযোগে করা মামলায় বৃহস্পতিবার ঢাকার অতিরিক্ত মূখ্য মহানগর হাকিম মো. কায়সারুল ইসলাম মতিউর রহমানসহ ১০ জনের নামে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন।
মোহাম্মদপুরে ঢাকা রেসিডেনসিয়াল মডেল কলেজে ক্যাম্পাসে এক অনুষ্ঠানে গত ১ নভেম্বর বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয় নবম শ্রেণির ছাত্র আবরার রাহাত। মহাখালীর ইউনিভার্সাল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পর তাকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা।
ওই অনুষ্ঠানের আয়োজক ছিল প্রথম আলোর কিশোর সাময়িকী কিশোর আলো। প্রথম আলো সম্পাদক মতিউর রহমান কিশোর আলোরও প্রকাশক; আর কিশোর আলোর সম্পাদক হলেন আনিসুল হক।
আবরারের বাবা মো. মুজিবুর রহমান গত ৬ নভেম্বর প্রথম আলো সম্পাদকসহ অজ্ঞাতপরিচয় কয়েকজনের বিরুদ্ধে আদালতে এ মামলা করেন। সেখানে দণ্ডবিধির ৩০৪ (ক) ধারায় অবহেলার কারণে মৃত্যুর অভিযোগ আনা হয়।