সূত্র মতে, পাওয়ারগ্রিডের পর্ষদ বিদ্যুৎ বিভাগের অনুকূলে শেয়ার মানি ডিপোজিটের বিপরীতে ১০ টাকা প্রিমিয়ামসহ ২০ কোটি ১০ লাখ ৮০ হাজার সাধারণ শেয়ার ইস্যু করবে। এছাড়াও ১০ টাকা অভিহিত মূল্যের ৭৬৪ কোটি ১১ লাখ ৬ হাজার ২৩টি প্রেফারেন্স শেয়ার ইস্যুর সিদ্ধান্তও নিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। অর্থাৎ কোম্পানিটি যথাক্রমে ৪০২ কোটি ১৬ লাখ টাকার সাধারণ শেয়ার ও ৭ হাজার ৬৪১ কোটি ১০ লাখ ৬০ হাজার ২৩০ টাকার প্রেফারেন্স শেয়ার ইস্যু করবে। এর মাধ্যমে বিদ্যুৎ বিভাগের সচিবের অনুকূলে মোট ৮ হাজার ৪৩ কোটি ২৬ লাখ ৬০ হাজার ২৩০ টাকার শেয়ার ইস্যু করতে চায় রাষ্ট্রায়ত্ত্ব প্রতিষ্ঠানটি।
এছাড়া কোম্পানির বর্তমান অনুমোদিত মূলধন ১০ হাজার কোটি থেকে বাড়িয়ে ১৫ হাজার কোটি টাকায় উন্নীত করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। এক্ষেত্রে কোম্পানিটি ১০ টাকা মূল্যে ১ হাজার ৩০০ কোটি প্রেফারেন্স শেয়ারের বিপরীতে ১৩ হাজার কোটি টাকা এবং ১০ টাকা মূল্যে ২০০ কোটি সাধারণ শেয়ারের বিপরীতে ২ হাজার কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনে উন্নীত হবে। এ-সংশ্লিষ্ট সংঘবিধি ও সংঘস্মারকেও সংশোধন আনবে কোম্পানিটি। এসব বিষয়ে শেয়ারহোল্ডারদের সম্মতি নিতে আগামী ২ সেপ্টেম্বর সকাল ১০টায় ভার্চুয়াল মাধ্যমে ইজিএম আহ্বান করেছে কোম্পানিটি। এ সংক্রান্ত রেকর্ড ডেট নির্ধারণ করা হয়েছে আগামী ১৩ জুলাই।
সর্বশেষ অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন অনুসারে, চলতি ২০২২-২৩ হিসাব বছরের প্রথম তিন প্রান্তিকে (জুলাই-মার্চ) পাওয়ার গ্রিডের শেয়ারপ্রতি লোকসান হয়েছে ৪ টাকা ৬৬ পয়সা। আগের হিসাব বছরের একই সময়ে শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছিল ৩ টাকা ৯২ পয়সা।