এসএস পাওয়ার প্ল্যান্টের পক্ষে বৃহস্পতিবার (১৫ জুন) মাস্টহেড পিআরের পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
দেশের ক্রমবর্ধমান বিদ্যুৎ চাহিদা পূরণের লক্ষ্যে মে মাসের শেষ সপ্তাহে পরীক্ষামূলকভাবে জাতীয় গ্রিডে বিদ্যুৎ সরবরাহ শুরু করে এসএস পাওয়ার প্ল্যান্ট। এরপর বিদ্যুৎকেন্দ্রটি ধারাবাহিকভাবে সর্বোচ্চ ৩০০ থেকে ৫০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে সরবরাহ করেছে। সফলভাবে পরীক্ষামূলক বিদ্যুৎ সরবরাহ প্রক্রিয়ার সমাপ্তির পর পরিকল্পনা অনুযায়ী বিদ্যুৎকেন্দ্রটি ৮ জুন সাময়িকভাবে বন্ধ করা হয় ও কমিশনিং কার্যক্রম শুরু করা হয়, যেন দ্বিতীয় ইউনিটের উৎপাদন কার্যক্রম যথাসময়ে শুরু করা যায়। আসন্ন ঈদুল আজহার পর পাওয়ার প্ল্যান্টটি আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হবে।
পরিকল্পনা অনুযায়ী বিদ্যুৎ কেন্দ্রটির দুটি ইউনিট থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য পর্যাপ্ত কয়লার সরবরাহ ইতোমধ্যেই নিশ্চিত করা হয়েছে। আগামী ১৮ জুন কয়লার প্রথম চালান এবং মাসের শেষে কয়লার দ্বিতীয় চালান আসবে।
এসএস পাওয়ার কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে,পাওয়ার প্ল্যান্টটিতে কয়লার সংকট নেই। বরং পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি অব বাংলাদেশের (পিজিসিবি) গ্রিড সঞ্চালন ক্ষমতা উন্নয়নের পর পূর্ণমাত্রায় কমিশনিং কার্যক্রম শুরু হবে। বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের সাথে বাস্তবায়িত পাওয়ার পারচেজ এগ্রিমেন্ট (পিপিএ) এবং বাংলাদেশ সরকার ও পিজিসিবির সাথে বাস্তবায়িত ইমপ্লিমেন্টেশন এগ্রিমেন্ট (আইএ) অনুযায়ী উৎপাদিত বিদ্যুৎ কার্যকরভাবে জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হবে।
এ প্রসঙ্গে এসএস পাওয়ার প্ল্যান্টের চিফ ফিনান্সিয়াল অফিসার মো. ইবাদত হোসেন ভূইয়া বলেন,আমরা সফলভাবে প্রথম ইউনিটের পরীক্ষামূলক বিদ্যুৎ উৎপাদন কার্যক্রম সম্পন্ন করেছি এবং দ্বিতীয় ইউনিটের টেস্টিং ও কমিশনিং কার্যক্রম চলমান রয়েছে। জ্বালানি হিসেবে কয়লার নির্বিঘ্ন সরবরাহ নিশ্চিত করতে সব ধরনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ঈদের পর বিদ্যুৎকেন্দ্রটির আনুষ্ঠানিকভাবে পূর্ণমাত্রায় উৎপাদন শুরু করার কথা রয়েছে, তবে চলমান পরিস্থিতিতে জনগণের বিদ্যুৎ ভোগান্তির কথা বিবেচনা করে আগামী ২০ জুন নাগাদ আবারও জাতীয় গ্রিডে বিদ্যুৎ সরবরাহের চেষ্টা করব আমরা।
উল্লেখ্য, ২৮ হাজার কোটিরও বেশি টাকা ব্যয়ে নির্মিত হচ্ছে এসএস পাওয়ার প্লান্ট। বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ বেসরকারি এই মেগাপ্রজেক্টটি বাস্তবায়নের ফলে জাতীয় জ্বালানি নিরাপত্তা আরও সুদৃঢ় হওয়ার পাশাপাশি শিল্প ও সেচ ব্যবস্থার উন্নতি ঘটবে। পাশাপাশি সরকার স্বলমূল্যে বিদ্যুৎ ক্রয় এবং সরবরাহ করে বিপুল বৈদেশিক মুদ্রা সাশ্রয় করতে পারবে।