১১ জুন সরকারের পক্ষ থেকে প্রতি লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেলের মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ১৮৯ টাকা। পাশাপাশি প্রতি লিটার খোলা সয়াবিন ১৬৭ ও পাম তেলের দাম ১৩৩ টাকা নির্ধারণ করা হয়। তবে বৃহস্পতিবার রাজধানীর খুচরা বাজারে প্রতি লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেল ১৯৯-২০০ টাকা, খোলা সয়াবিন তেল ১৭৬-১৮০ টাকা ও পাম তেল প্রতি লিটার ১৪৫ টাকায় বিক্রি হতে দেখা যায়। যা সরকার নির্ধারিত দামের চেয়ে ১৪, ১১ ও ৮ টাকা বেশি।
বিক্রেতারা বলেন, কোম্পানি থেকে নতুন দামের তেল সরবরাহ করা হচ্ছে না। আগের বাড়তি দরের তেল বাড়তি দামেই বিক্রি করতে হচ্ছে। মিল থেকে সরকার নির্ধারিত দামে তেল সরবরাহ করতে মনে হচ্ছে দেরি হবে। কারণ তারা সব সময় সুযোগ খোঁজে। অতি মুনাফা করে বাজারে পণ্য সরবরাহ করে। আর কয়েকদিন পর ঈদ। যে কারণে তারা মিল থেকে নতুন দামে তেল সরবরাহ করছে না।
অন্যদিকে ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি করার পর থেকে রাজধানীর খুচরা বাজারে পণ্যটির দাম কমতে শুরু করে। তবে সপ্তাহের ব্যবধানে ফের কেজিপ্রতি ৫ টাকা বেড়েছে পেঁয়াজের দাম।
ক্রেতারা বলেন, ‘পণ্যের দাম নিয়ে আমরা হতাশায় আছি। প্রতি সপ্তাহে কোনো না কোনো পণ্যের দাম বাড়ে। সরকার কমালেও বাজারে বাড়তি দামেই বিক্রি হচ্ছে ভোজ্যতেল। পাশাপাশি কুরবানির ঈদ ঘিরে মসলা পণ্যের দাম বাড়তি। বাজারে তদারকি সংস্থাগুলোর কোনো ভূমিকা নেই।’