কুরাসাওয়ের পর পানামার বিপক্ষের ম্যাচটিও ছিল লে আলবিসেলেস্তেদের একপ্রকার বিশ্বকাপ জয়ের প্রীতি সম্মিলন। মাঠে খেলার চেয়ে উৎসব আর উদযাপনের দিকেই বেশি মনযোগী ছিল আকাশি-নীল শিবিরের দর্শক-সমর্থকরা। হোম ভেন্যুতে নেচে-গেয়ে, আনন্দ-উল্লাসে মেসিদের সংবর্ধনা জানিয়েছিল দর্শকরা।
প্রায় তিন মাস বিরতি দিয়ে আন্তর্জাতিক প্রীতি ম্যাচে আবারও মাঠে নেমেছে লিওনেল মেসির দল। চীনের বেইজিংয়ে ওয়ার্কাস স্টেডিয়ামে অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে খেলছে মেসি-ডি মারিয়ারা। তবে এ ম্যাচটি আগের দুই ম্যাচের মতো এতটা সহজ হবে না, এটা ভালো করেই অবগত স্ক্যালোনির শীর্ষরা।
সবশেষ গেল বছর কাতার বিশ্বকাপের রাউন্ড অব সিক্সটিনে মুখোমুখি হয়েছিল আর্জেন্টিনা-অস্ট্রেলিয়া। শ্বাসরুদ্ধকর ম্যাচটিতে ক্যাঙ্গারুদের ২-১ গোলে হারিয়ে কোয়ার্টার ফাইনাল নিশ্চিত করেছিল মেসি বাহিনী।
এদিকে আর্জেন্টাইনদের জন্য বড় পরীক্ষা হিসেবে বিবেচিত এই ম্যাচকেও উপলক্ষ বানিয়েছেন আয়োজকেরা। এর কারণও রয়েছে বটে! হাজার হোক ৩৬ বছরের আক্ষেপ ঘুচিয়ে বিশ্বকাপের সোনালি ট্রফি নিজেদের করেছে দলটি।
এ কারণে বিশ্বকাপজয়ী দলের হাতে ম্যাচের আগে বা পরে সুদৃশ্য স্মারক তুলে দেওয়া হবে। এ স্মারকে ডিয়েগো ম্যারাডোনাও থাকছেন। এমনকি আকাশি-নীল জার্সিধারীদের প্রতিপক্ষ অজিদের হাতেও এ স্মারক তুলে দেওয়া হবে।
সেই স্মারকের ছবি প্রকাশ করেছে আর্জেন্টিনার সংবাদমাধ্যম টিওয়াইসি স্পোর্টস। লে আলবিসেলেস্তেদের দুই মহাতারকা ম্যারাডোনা ও মেসিকে রেখেই এ স্মারক তৈরি হয়েছে। এই দুই মহাতারকার হাতেই থাকছে বিশ্বকাপের ট্রফি। দুজনেই উঁচিয়ে ধরেছেন বিশ্বকাপের এই ট্রফি।
এদিকে আর্জেন্টাইন সংবাদমাধ্যমটি এই স্মারকের খুঁতও খুঁজে বের করেছে। সংবাদমাধ্যমটি প্রশ্ন তুলেছে—মেসির একটা হাতে পাঁচ আঙুলের জায়গায় কেন চারটা! তবে এই স্মারকে আকাশি-নীল শিবিরের প্রথম বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক দানিয়েল প্যাসারেলাকে রাখেনি আয়োজকরা। তাকে রাখলেই পরিপূর্ণতা পেত স্মারকটি।
২০০৮ সালে বেইজিং অলিম্পিকে লিওনেল মেসির অনবদ্য পারফরম্যান্সেই ফুটবলে স্বর্ণপদক জিতেছিল আর্জেন্টিনা। এ কারণে বলাই যায়, চীনের রাজধানী মেসির জন্য যথেষ্ট পয়া। এবারের আর্জেন্টাইন দলে আছেন বেইজিং অলিম্পিকে মেসির আরেক সতীর্থ আনহেল দি মারিয়া। আর বিশ্বকাপজয়ী দল সেখানে পৌঁছানোর পর থেকেই উন্মাদনায় ভাসছেন ফুটবলপ্রেমীরা।
অর্থসংবাদ/এসএম