ইআরডি বলছে, বাংলাদেশ ও জাপান সরকারের মধ্যে মঙ্গলবার (২০ জুন) ‘বিনিময় নোট’ ও ‘অনুদান চুক্তি’ স্বাক্ষরিত হয়। বাংলাদেশ সরকারের পক্ষে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সচিব মিজ শরিফা খান ও জাপান সরকারের পক্ষে বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত ইওয়ামা কিমিনরি ‘বিনিময় নোট’ এবং ঢাকায় নিযুক্ত জাইকার চিফ রিপ্রেজেন্টেটিভ ইচিগুচি তোমোহিদি ‘অনুদান চুক্তি’ স্বাক্ষর করেন।
৪র্থ প্রাথমিক শিক্ষা উন্নয়ন কর্মসূচি (পিইডিপি-৪) শীর্ষক কর্মসূচিটি প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর কর্তৃক জুলাই ২০১৮ থেকে জুন ২০২৫ মেয়াদে বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। এরই মধ্যে এ কর্মসূচির জন্য গত তিন বছরে জাপান সরকার মোট ১৫০ কোটি ইয়েন অনুদান সহায়তা প্রদান করেছে। ৪র্থ বছরের জন্য জাপান সরকার কর্তৃক প্রদত্ত অনুদান সহায়তা আর্থিক ও বাজেট ব্যবস্থাপনা এবং প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা বৃদ্ধির কাজে ব্যবহৃত হবে।
দ্বিপাক্ষিক পর্যায়ে জাপান বাংলাদেশের একক বৃহত্তম উন্নয়ন সহযোগী দেশ। স্বাধীনতার পর থেকে এ যাবৎ জাপান সরকার ৩০ দশমিক ১২ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের প্রতিশ্রুতি প্রদান করেছে। বাংলাদেশের সার্বিক অর্থনৈতিক উন্নয়নে জাপান গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে আসছে। নমনীয় ঋণ ছাড়াও জাপান বিভিন্ন প্রকল্পে অনুদান ও কারিগরি সহায়তা প্রদান করছে, যার মধ্যে মানবসম্পদ উন্নয়ন, আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন এবং পরিবেশ সুরক্ষা বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য।
অর্থসংবাদ/এসএম