সোমবার (২৬ জুন) বিএসইসির পরিচালক মোহাম্মদ আবুল হাসান সাক্ষরিত এ সংক্রান্ত একটি আদেশ জারি করা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সূত্র মতে, তদন্ত কমিটির প্রধান করা হয়েছে বিএসইসির পরিচালক মো. মনসুর রহমানকে। কমিটির অন্যান্য সদস্যরা হলেন, বিএসইসির অতিরিক্ত পরিচালক আবুল কালাম আজাদ, বিএসইসির উপ-পরিচালক বনি ইয়ামিন খান, বিএসইসির সহকারী পরিচালক অমিত কুমার সাহা এবং সেন্ট্রাল ডিপোজিটরি অব বাংলাদেশের (সিডিবিএল) জিএম রাকিবুল ইসলাম চৌধুরী।
বিএসইসির আদেশে বলা হয়, বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন এ মর্মে অভিমত দেয় যে পুঁজিবাজার এবং সাধারণ বিনিয়োগকারীদের বৃহত্তর স্বার্থে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) ইনভেস্টর প্রটেকশন ফান্ডের নিম্নোলিখিত বিষয়ে অনুসন্ধান করা প্রয়োজন:
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ইনভেস্টর প্রটেকশন ফান্ড) রেগুলেশন অনুযায়ী যে সমস্ত উৎস থেকে ইনভেস্টর প্রটেকশন ফান্ডে অর্থ জমা হওয়ার বিধান রয়েছে তা অর্থ বছরভিত্তিক সুদসহ সকল পূঞ্জিভূত বেনিফিটস/অর্থ সঠিকভাবে ফান্ডে জমা আছে কিনা তা যাচাইকরণ;
ডিমিউচ্যুলাইজেশন স্কিম, ২০১৩ সালের অক্টোবরে প্রকাশিত হওয়ায় এই স্কিমে উল্লিখিত ৪ সদস্যের বিপরীতে জমাকৃত সকল পুঞ্জিভূত বেনিফিটস/অর্থ ২০১৮ সালের অক্টোবরের পরে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ লিমিটেড কর্তৃক ইনভেস্টর ফান্ডের জমা হওয়ার কথা থাকলেও ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ লিমিটেড এতদিন কেন তা জমা প্রদান করেনি তা কারণ যাচাইকরণ এবং এই জমা প্রদান না করার জন্য দায়ী ব্যক্তিদের সনাক্তকরণ;
সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ অর্ডিন্যান্স , ১৯৬৯ এর ২১ ধারা এবং বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন আইন, ১৯৯৩ এর ধারা ১৭ক এ প্রদত্ত ক্ষমতাবলে এ কমিটি গঠন করা হয়েছে বলে আদেশে উল্লেখ করা হয়েছে।