মঙ্গলবার বেঙ্গালুরুর কান্তীরাভা স্টেডিয়ামে ম্যাচটা হয়েছে আক্রমণ-প্রতি আক্রমণ নির্ভর। ম্যাচ ঘড়ির ২০ মিনিটে কুয়েতের শাবাইবের শট অল্পের জন্য ক্রসবারের ওপর দিয়ে গেলে গোল পাওয়া হয়নি। ৫ মিনিট পর মোহাম্মদ আব্দুল্লাহও লক্ষ্যে শট নিতে পারেননি। তবে ভারত প্রথমার্ধের ঠিক আগ মুহূর্তে এগিয়ে যায় অধিনায়কের গোলে।
যোগ করা সময়ের দ্বিতীয় মিনিটে সতীর্থের কর্নারে ডান পায়ের সাইড ভলিতে জাল কাঁপান সুনীল ছেত্রী। সাফে ৩৮ বছর বয়সী স্ট্রাইকার এ নিয়ে ৫টি গোল করেছেন।
বিরতির পর রোমাঞ্চ-উত্তেজনা যেন আরও বাড়ে। তিনটি লাল কার্ডের সঙ্গে একটি গোলও হয়েছে এই অর্ধে।
৫৭ মিনিটে শাবাইব আলখাদির শট গোলকিপার অমৃন্দর সিং হাত উঁচিয়ে প্রতিহত করেন। ৬৯ মিনিটে ভারতের জ্যাকসন সিংহের হেড ক্রস বারের ওপর দিয়ে না গেলে ভারতের ব্যবধান বাড়তে পারতো। শেষ ১০ মিনিটে দেখা দেয় চরম উত্তেজনা। প্রথম ম্যাচে লাল কার্ড দেখেছিলেন স্বাগতিকদের ক্রোয়েশিয়ান কোচ ইগর স্টিমাচ। যার পুনরাবৃত্তি হয়েছে আজও। বাংলাদেশের রেফারি আলমগীর সরকারের মার্চিং অর্ডার পেয়ে ৮০ মিনিটে মাঠ ছাড়তে হয়েছে ভারতের কোচকে।
৫ মিনিট পর শাবাই আলখাদির জোরালো শট অমৃন্দর সিং বাঁ দিকে ঝুঁকে প্রতিহত করলে কুয়েত সমতায় ফিরতে পারেনি। ৮৮ মিনিটে ধাক্কাধাক্কির ঘটনা ঘটলে দুই দলের একজন করে লাল কার্ড দেখেছেন। কুয়েতের হামাদ আল খালাফ ও রহিম আলী সরাসরি কার্ড দেখে মাঠ ছাড়েন। তার পর যোগ করা সময়েই কুয়েতের ভাগ্য খুলেছে। কুয়েতের একজনের শট ক্লিয়ার করতে গিয়ে নিজেদের জালে জড়িয়ে সর্বনাশ ডেকে আনেন ভারতের ডিফেন্ডার আনোয়ার আলী। তাতে করে গ্রুপসেরা হয়ে সেমিফাইনাল নিশ্চিত করেছে কুয়েত। আর স্বাগতিক ভারত গ্রুপ রানার্সআপ হয়ে শেষ চারে নাম লিখিয়েছে।