সদ্য বিদায়ী ২০২২-২৩ অর্থবছরে পোশাক রপ্তানি লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়েছে। আলোচ্য অর্থবছরে পোশাক রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৪৬.৮০ বিলিয়ন ডলার। রপ্তানি হয়েছে ৪৬.৯৯ বিলিয়ন ডলারের পোশাক। লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ০.৪১ শতাংশ বেশি পোশাক রপ্তানি হয়েছে।
সোমবার (৩ জুলাই) রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) হালনাগাদ প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।
বাংলাদেশ থেকে বিভিন্ন দেশে ওভেন ও নিট পোশাক রপ্তানি করা হয়। ২০২২-২৩ অর্থবছরে মোট পোশাক রপ্তানি করা হয়েছে ৪৬.৯৯ বিলিয়ন ডলারের। এর মধ্যে ওভেন পোশাক ২১.২৫ বিলিয়ন ডলার এবং নিট পোশাক ২৫.৭৪ বিলিয়ন ডলার। আগের অর্থবছরে মোট পোশাক রপ্তানির পরিমাণ ছিল ৪২.৬১ বিলিয়ন ডলার। এর মধ্যে ওভেন ১৯.৩৯ বিলিয়ন ডলার এবং নিট ২৩.২১ বিলিয়ন ডলার। এক বছরের ব্যবধানে ওভেন পোশাক রপ্তানিতে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৯.৫৬ শতাংশ এবং নিট পোশাক রপ্তানিতে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ১০.৮৭ শতাংশ। বছরের ব্যবধানে পোশাক রপ্তানি ৪.৩৮ বিলিয়ন ডলার বেড়েছে। এ সময় মোট পোশাক রপ্তানিতে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ১০.২৭ শতাংশ।
বিদায়ী অর্থবছরে পোশাক রপ্তানি লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে গেলেও সদ্য সমাপ্ত জুনে অনেকটা পিছিয়ে আছে। গত জুন মাসে পোশাক রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৪.৪৯ বিলিয়ন ডলার। এ সময় অর্জন হয়েছে ৪.৩৬ বিলিয়ন ডলার। আলোচ্য সময়ে পোশাক রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ২.৯০ শতাংশ পিছিয়েছে বাংলাদেশ।
জুনে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে পিছিয়ে থাকলেও পোশাক রপ্তানিতে প্রবৃদ্ধি হয়েছে। গত জুন মাসে পোশাক রপ্তানি হয়েছে ৪.৩৬ বিলিয়ন ডলার। এর মধ্যে ওভেন পোশাক ১.৯০ বিলিয়ন ডলার এবং নিট পোশাক ২.৪৬ বিলিয়ন ডলার রপ্তানি হয়েছে। আগের বছর একই সময়ে পোশাক রপ্তানি হয়েছিল ৪.০৯ বিলিয়ন ডলার। এর মধ্যে ওভেন ১.৮৬ বিলিয়ন ডলার এবং নিট ২.২২ বিলিয়ন ডলার। আলোচ্য সময়ে ওভেন রপ্তানিতে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ১.৯৯ শতাংশ এবং নিটে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ১০.৪০ শতাংশ। এ সময় মোট পোশাক রপ্তানিতে ৬.৫৭ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়েছে।
অর্থসংবাদ/এসএম